সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর বগুড়া সফর: কি পেল বগুড়াবাসী

বগুড়াবাসীর স্বপ্নের বগুড়া পূরন হলো না
শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ও এর আশেপাশে লাখো লাখো মানুষ সুষ্ঠু পরিবেশে স্বপ্নের বগুড়া পাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন

গোলাম রব্বানী শিপন, ১২ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ : সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে অাজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার অালতাফোন্নেছা খেলার মাঠে জনসভা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলো লাখো লাখো জনতা।

বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা যেন জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছিলো। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট সকল কার্যক্রম শেষে সেখান থেকে জনসভায় যোগ দিতে রওনা দিয়ে ২টা ৫০ মিনিটে জনসভা মঞ্চে এসে পৌঁছেছেন।

পরে তিনি ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বেশ কয়েক দিন হলো বগুড়ায় যে অালোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল অাজ বৃহস্পতিবার তার অবসান ঘটলো। বগুড়ায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি করপোরেশন, বগুড়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত রেললাইন ,একটি ফুটবল স্টেডিয়াম, একটি বালক এবং বালিকা বিদ্যালয় সরকারিকরণের প্রস্তাবিত দাবি থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে কোনো ঘোষণা না আসায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন বগুড়াবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া শহরের ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্ত্যের আগে ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে যে দাবি দাওয়া গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভ্রুক্ষেপ কামনা করেছিলেন।
গত কয়েক দিন হলো যেভাবে প্রচার প্রচারোনায় যে অালোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল এবং আগে থেকেই বগুড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন চমক দেখাবেন বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলেছিলেন। শুধু এই নয় এসব দাবি ব্যাখা করে ব্যানার ফেস্টুনে ও বড় বড় বিলবোর্ডে বগুড়া শহর ছেয়েগেছে। শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ও এর আশেপাশে লাখো লাখো মানুষ সুষ্ঠু পরিবেশে স্বপ্নের বগুড়া পাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন।

জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলো লাখো লাখো জনতা
জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলো লাখো লাখো জনতা

বিকেল ৩টা ৪২ মিনিট থেকে শুরু করেন টানা প্রায় ৪৫ মিনিটের ভাষণেও বগুড়ার মানুষের দাবি গুলোর ঘোষণা আসবে সেই অপেক্ষায় ছিলেন বগুড়াবাসী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের ভাষণে কোথাও বগুড়ার দাবি দাওয়া তুলেধরা বা ঘোষণা না আসায় অনেকেরই মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বগুড়ায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করেছিল।

বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দেয়।’ বক্তব্যে শেষে তিনি বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বগুড়ায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যমুনা সেতু থেকে রংপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসাথে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও যমুনা নদীতে ড্রেজিংয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। তবে বগুড়াবাসীর যে স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি বগুড়াকে সিটি করপোরেশন, একটি ফুটবল স্টেডিয়াম এবং প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে অারো বক্তব্য রাখেন, সরকারের ভূমিমন্ত্রী সামছুল আলম দুদু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, বগুড়ার সারিয়াকান্দি সংসদ সদস্য অাঃ মান্নান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top