সকল মেনু

স্থানীয় নির্বাচনের আগে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে ইসিতে হিড়িক

স্থানীয় নির্বাচনের আগে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে ইসিতে হিড়িক
স্থানীয় নির্বাচনের আগে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে ইসিতে হিড়িক

১৫ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ : দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসায় অনেকে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী হয়ে ইসিতে আসছেন। কিন্তু এ নির্বাচনের আগে নতুন কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

সেক্ষেত্রে দশম সংসদ পর্যন্ত জামায়ত ছাড়া নিবন্ধিত ৪০টি দলই দলীয় এ স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। সংক্ষুব্ধ একটি দল বলছে, আসন্ন পৌর নির্বাচনের আগে সব শর্তপূরণ করেও নিবন্ধনের সুযোগ না পেলে আদালতের শরণাপন্ন হবে।

স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে করতে আইন সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আসন্ন পৌর নির্বাচন দলভিত্তিক করতে আইনের সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রক্রিয়াও চলছে।

নির্বাচন কমিশনও বলছে, যতদ্রুত দলীয় নির্বাচনের বিষয়ে সংশোধিত আইন হাতে পাবে তত দ্রুত বিধিমালা সংশোধন করা হবে। দলীয় প্রতীক নিয়ে দলীয় প্রার্থীরা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলাদা প্রতীকে ভোট করবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ  বলেন, “দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচনের আইনটি পাস হলে নিবন্ধিত দলগুলোই নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থী দেবে। অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। পৌর নির্বাচনের সময় রয়েছে আর দেড় মাস। এ সময়ের মধ্যে নতুন কোনো দলকে নিবন্ধনের ব্যাপারে আমরা চিন্তা করছি না।”

সম্প্রতি নতুন দলের নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-বিএনডিপসহ কয়েকটি দল। এ বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান , “সংসদ নির্বাচনে আমাদের পরে যেতে হবে।

সামনে তো পৌর নির্বাচন রয়েছে, অন্তত ২০টি পৌরসভায় প্রার্থী দেওয়ার আশা আমাদের। আমরা এখন নিবন্ধন পেলে নিজস্ব প্রতীক ডিসএন্টেনায় প্রার্থী দিতে পারব।”

পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন না পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে, প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে উল্লেখ করেন বিএনডিপি চেয়ারম্যান।

এদিকে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে সংশোধিত স্থানীয় সরকার আইনেও তাদের অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। সেই সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সংসদে যেমন আগ্রহীদের নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকা দেওয়ার বিধি রয়েছে, তা স্থানীয় নির্বাচনেও প্রযোজ্য হবে।

“সংসদের মতো স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়েও নিবন্ধনের বিষয়ে আইনী ব্যাখ্যা থাকবে। এজন্য সংশোধিত আইনটি আমাদের হাতে পেতে হবে, সেখানে যেভাবে বলা হবে সেভাবে করবো আমরা” বলেন তিনি।
সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নে দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকার বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি তৃণমূলের সম্মতিতে প্যানেল করার বিধান রয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে মন্ত্রী, সাংসদ ও সমমর্যাযদার ব্যক্তিকে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আচরণবিধিমালাও রয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে সংসদের আদলে সব কিছু বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আরপিও তে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, কোন্ পর্যা্য়ের নেতারা প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দলের, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালাও সঙ্গতিপূর্ণ রেখে সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

আইনের সংশোধন এলেই বিধিমালায় যুক্ত সব জানানো হবে। আগে আইন হোক, তারপর দেখা যাবে।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top