ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সরকারকে চাপে ফেলতেই ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজারকে হত্যা করা হয়েছে। তাভেলা হত্যায় জড়িত ৩ জনসহ আটককৃত ৪ জন এ কথা স্বীকার করেছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাভেলা হত্যায় আইএস জড়িত- এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আইএস বিষয়টি নিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি চিহ্নিত মহল বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সিজার তাভেলাকে হত্যা করে। হত্যার নির্দেশদাতা কথিত বড়ভাইকে গ্রেফতার করা হলে এর পিছনে কারা রয়েছে তা বের করা যাবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিবির একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাভেলা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনসহ মোট ৪ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- রাসেল চেধুরী ওরফে চাকতি রাসেল। তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তানজিল আহমেদ রাসেল ওরফে মোবাইল রুবেল ওরফে সুতা রুবেল। তাকে বাড্ডা এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মিনহাজুল ইসলাম রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ওরফে কালা রাসেল। তাকেও বাড্ডা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে মানিকের গ্যারেজ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তাই মানিককেও গ্রেফতার করা হয়। মোটরসাইকেলটি সাখাওয়াত হোসেন শরীফ নামের এক ব্যক্তির। তার কাছ থেকে অভিযানের কথা বলে ভাগ্নে রাসেল মোটরসাইকেলটি ধার নেয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভাগ্নে রাসেল ও চাকতি চৌধুরী নেশাসক্ত। তারা বিভিন্ন মামলায় কয়েকবার কারাভোগ করেছে এবং এখনো তাদের নামে অনেক মামলা রয়েছে। ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে রুবেলের অতীত রেকর্ড রয়েছে। তাদের আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ৯০ নম্বর সড়কে ইতালির নাগরিক সিজার তাভেলা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি এনজিওর গুলশান কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।