সকল মেনু

টিউশন ফি’র ওপর ভ্যাটঃ যেসব কারণে ভ্যাট প্রত্যাহার করছে না সরকার

যেসব কারণে ভ্যাট প্রত্যাহার করছে না সরকার
যেসব কারণে ভ্যাট প্রত্যাহার করছে না সরকার

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ :  গত জুনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করার পর থেক টিউশন ফি’র ওপর আরোপিত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের যৌক্তিক দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও বিভিন্ন কারণে ভ্যাট আরোপ থেকে সরে আসতে পারছেনা না সরকার।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থ সচিব কফিল উদ্দিন মাহমুদ জানান, সরকার চাইলেই এই মূহুর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট প্রত্যাহার করতে পারছেনা। কারণ বাজেট পেশ করা হয় সরকারের আয়-ব্যয়ের উপর নির্ভর করে। বছরে কত রাজস্ব আসবে এর উপর ভিত্তি করে বাজেট দেওয়া হয়। তাই চাপ থাকা সত্তে ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট প্রত্যাহার করতে পারছেনা সরকার।

তিনি বলেন, রাজস্ব বাড়াতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট বসিয়েছে। অর্পিত যে কোন ভ্যাট প্রত্যার করা হলে বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাবে বলে মতামত তার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে এটা পরিশোধ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এটা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হবে না অমরা সব সময় নজর রাখব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি বেতন ১০১ ভাগের উপর বৃদ্ধি করেছি। তারপরও যদি কেউ না বুঝে আন্দোলন করে। আমি তাদের বলতে চাই, আপনারা যদি বলেন, তাহলে আমরা যে পরিমাণ বেতন বৃদ্ধি করেছি, তা অর্ধেকে নামিয়ে আনি বা বন্ধ করি। তারপর আপনাদের দাবি দাওয়া শুনি।

তিনি বলেন, ‘আমি ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখলাম একই বিল্ডিংয়ে ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কি মানের পড়াশুনা হয় আর কি মানের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়? ছাত্র ছাত্রীদের থেকে যথেষ্ট টাকাও নেওয়া হচ্ছে কিন্তু তাদেরকে কি যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করব। যাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা না হয়।

এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট নিয়ে তিনি আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পান না। কারণ, এটা ন্যূনতম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র যারা, আমাদের দেশের অবস্থান বিবেচনায় তারা বিত্তশালী। আমি ৩০টি কলেজের স্টেটমেন্ট নিয়ে হিসাব করে দেখেছি, তাদের দৈনিক খরচ এক হাজার টাকা। মাসে প্রত্যেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেন।

৩০ হাজার টাকা যেখানে খরচ করেন, সেখানে আমি কত চাচ্ছি? ৭৫ টাকা। সেটা না দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমি বুঝি না। তাদের যে প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এ পয়সাটা দেবে। সে জন্য আমি তাদের আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা পাই না।’

অন্য দিকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের যৌক্তিক দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তবে তাদের আন্দোলনে বিভক্তি রয়েছে। এক পক্ষ বলছে, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আজ শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে তারা। অপর পক্ষ আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আগের দিন গুলোর মত শনিবার ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্ররা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। শনিবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। টানা সোমবার পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top