সকল মেনু

পদ্মায় বাস ও রেল সেতু একই দিনে উদ্বোধন

Podha1452163622নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৭ জানুয়ারি : পদ্মা সেতুতে বাস ও ট্রেন চলাচল একই দিনে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতুর ব্যয় বাড়লেও প্রথম বছরে মোট ব্যয়ের চেয়ে আট হাজার কোটি টাকার বেশি রিটার্ন আসবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু চালু হবে। সেই সঙ্গে মাওয়া অংশে রেল সেতুর কাজও চলমান থাকবে। বাস ও রেল সেতু একই দিন উদ্বোধন হয়ে যাবে।

প্রকল্পে ব্যয় বাড়ার বিষয়ে সেতু মন্ত্রী জানান, ডলার কনভার্সন রেট ৬৯ টাকা থেকে বেড়ে ৭৮ টাকা হয়েছে। যা মাঝে মাঝে ৭০-৮০ টাকাও হচ্ছে। ২০১০ সালের ডিপিপি করার সময় পূর্ণাঙ্গ নকশা শেষ হয়নি। আবার কন্ট্রাক্ট এওয়ার্ড করতে চার বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। অধিগ্রহণ করতে হয়েছে ৫শ’ একর জমি।

সেই সঙ্গে মাওয়া প্রান্তে এক দশমিক তিন কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে নদী শাসনের জন্য। উভয় পাড়ে ফেরিঘাট স্থানান্তরের জন্য সড়ক নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের কাজও করতে হচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ডিপিপি হওয়ার সময় সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে; পূর্ণাঙ্গ নকশা নিশ্চিত হওয়ার পর এসব কারণে ব্যয় বেড়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। প্রথম বছরেই ব্যয়ের চেয়ে বেশি অর্থ ফেরত আসবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় চারটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান সেতু মন্ত্রী।

তিনি জানান, যমুনা রিসোর্ট সুরক্ষার জন্যে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় জমি দিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া ৫শ’ মেগাওয়ার্ট সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডকে ১২ দশমিক ৪৩ একর জমি ৩০ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হবে।

সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ৫শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর মোট নির্মাণ ব্যয় বেড়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

একনেক-পরবর্তী সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতু গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে। প্রকল্পের সামগ্রিক কাজ শেষ হতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top