সকল মেনু

শেরপুরে শিশু ধর্ষণ

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার আহম্মেদ শাকির: শেরপুরের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীতে পৃথক দুটি ধর্ষন চেষ্টার ঘটনায় একজনকে শ্রীঘরে ও অপরজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয় জনতা।

জানা যায়, শ্রীবরদী পৌর শহরের তাতীহাটি এলাকার মবেদ আলীর পুত্র লম্পট মহিজল হক (৫২) শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় উত্তর বাজার গাঙ্গিনাপাড় মহল্লার দরিদ্র পরিবারের ১০ বছর বয়সী শিশুকে একটি ২০ টাকার নোটের লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী কাঠের বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই শিশুর ডাক-চিৎকারে স্বজনরাসহ প্রতিবেশিরা দৌড়ে গিয়ে লম্পট মহিজলকে পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা হলে থানা পুলিশ আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দসহ ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করে। পরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে লম্পট মহিজলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

অপরদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় মধ্যবয়সী তিন সন্তানের জননী এক হিন্দু নারীকে (৪০) ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধৃত হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার এক লম্পট এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে পৌর শহরের সাহাপাড়া মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম (৪০) পার্শ্ববর্তী সাহাপাড়া মহল্লায় যায়। ওই সময় স্থানীয় প্রসন্ন কুমার প্রি-ক্যাডেট একাডেমি সংলগ্ন চায়ের দোকানে থাকা ঘটনার শিকার ওই হিন্দু মহিলা একা দোকানঘরের ঝাপ মারছিলেন। এ সুযোগে লম্পট হাকিম দোকান ঘরে ঢুকে ওই মহিলাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে মহিলা চিৎকার করলে পাশেই থাকা তার ছেলে ও এক প্রতিবেশি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট হাকিমকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। ওই সময় হৈ-চৈ এর শব্দ শুনে মুহূর্তেই আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে হাকিমকে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। পরে সংবাদ পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট হাকিমকে জনরোষের কবল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। স্থানীয় সূত্রমতে, লম্পট হাকিম বেশ কিছুদিন যাবত ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর আগেও সে অপর এক হিন্দু মহিলার সাথে নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে অবশেষে তাকে বিয়ে করে। বর্তমানে তার দুই স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে নারী সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে ওই ঘটনায় এখনও থানায় কোন মামলা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আপোষ-রফার নামে ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top