সকল মেনু

ব্রিটিশ রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে

1450722982নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২২ ডিসেম্বর : বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বৃটেনে রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের গৌরব। আগামীতে তা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, আগামীতে মহিলাদের পাশাপাশি বাঙালি পুরুষরাও স্থান করে নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মুসলমানদের সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, বৃটেনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য তিনি  বিষয়টি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল দেশের নাগরিকরাই বৃটেন গড়ে তুলেছেন।
টিউলিপ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি বিশেষ করে সিলেটিদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে তিনি বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছেন। প্রবাসী সিলেটিদের সক্রিয়ভাবে তার ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই বাংলাদেশ সফরের প্রথমেই তিনি সিলেটে এসেছেন। টিউলিপ বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মানে সিলেটি। প্রবাসী শব্দের সাথে সিলেট অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তিনি আগামীতেও সিলেটে আসার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সোমবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রা বিরতিকালে সুধীজনের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু তনয়া ও টিউলিপের মা শেখ রেহানা, স্বামী ক্রিশ্চিয়ান উইলিয়াম তার সাথে ছিলেন।
সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা বলেন, লন্ডন-সিলেট আলাদা কোনো স্থান নয়। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আমরা যখন লন্ডনে ছিলাম তখন প্রবাসী সিলেটিরাই আমাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। সিলেটকে বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত শহর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই শহর ওলি-আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত। এই শহর সফর করা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। তিনি বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি তার জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভুঁইয়া, সংসদ সদস্য এহিয়া চৌধুরী ও শাহানা রব্বানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সেক্রেটারী শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সেক্রেটারী আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা:মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, জেলা বার সভাপতি একেএম শমিউল আলম ও সেক্রেটারী অশোক পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, চেম্বার সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল প্রমুখ।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, টিউলিপকে বহনকারী বিমান সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা যাত্রা বিরতি শেষে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশে এটাই টিউলিপের প্রথম সফর।
চলতি বছর ৭ মে অনুষ্ঠিত বৃটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ। ৩২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে। লেবার পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নারী ও সমতা বিষয়ক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক শ্যাডো মিনিস্টার মাইকেল ডুগারের স্থায়ী ব্যক্তিগত সচিবের (পিপিএস) দায়িত্ব পেয়েছেন। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে টিউলিপ সমর্থন দিয়েছিলেন অ্যান্ডি বারহ্যামকে, যাকে ছায়া মন্ত্রিসভায় হোম সেক্রেটারির দায়িত্ব দিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন।  গত নির্বাচনে লন্ডন থেকে যে তিন বাঙালি কন্যা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেবল টিউলিপের নামই করবিনের ছায়া সরকারে এসেছে। লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর থাকাকালে টিউলিপ কাউন্সিল সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক কেবিনেট সদস্য ছিলেন।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top