সকল মেনু

গাংনীতে খোলস পাল্টাতে যাচ্ছে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবার খোলস পাল্টে নতুন করে শুরু করছে কাবলীওয়ালাদের মতো মহজনী ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে। নাম বদলিয়ে নতুন করে আবারও মাঠে নামবে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি-র মাঠকর্মীরা। কিন্তু কোন ভাবেই এদের পাঁতা অদৃশ্য ফাঁদ থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাজার হাজার গ্রাহক। কোটি কোটি টাকা নিয়ে এখন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে ব্য¯ত আইডিয়ালের পরিচালক বজলুর রহমান।

প্রাপ্ততথ্যমতে, গাংনী উপজেলার মটমুড়্ ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের বজলুর রহমান ২০০৫ সালে সমবায় অফিস থেকে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে বামন্দী বাসস্ট্যান্ড বাজারে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে শুরু করেন ঋণ বিতরন ও সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম। কিছুদিন পরেই শুরু করেন ব্যাংকিং কার্যক্রম। এক লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা মুনাফা এমন অধিক লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ তাদের গচ্ছিত টাকা এফডিআর এর নামে জমা রাখতে শুরু করে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে। গ্রাহকদের টাকায় কয়েক বছরের মধ্যে বজলুর রহমান মেহেরপুর জেলা শহর থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির শাখা বাড়িয়ে দেন। এ যেন রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার মত অবস্থা। আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এমন প্রসার দেখে বামন্দী এলাকায় বেড়ে যায়, এভারগ্রীন , সততা, সোনালী, অঙ্গীকার, মেধাবী, বিশ্বাস ও জনকল্যাণ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। সব গুলোতেই চলতে থাকে ব্যাংকিং কার্যক্রম। টাকা সংকটে পড়ে ব্যংক গুলো। হঠাৎ করেই এভারগ্রীন মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালক প্যারিস গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেন যার খোঁজ মেলেনি এখনও। এভারগ্রীনের পরিচালক পালিয়ে যাওয়ার আতংক কাটতে না কাটতেই মাস খানেক আগে মেধাবী সেভিংস এন্ড ক্রেডিট মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালক মনিরুল ইসলাম গ্রাহকদের টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। আবারও আতংকিত হয়ে পড়ে গ্রাহকরা। আতংকিত গ্রাহকরা তাদের শেষ সম্বলটুকা হারোনোর ভয়ে আইডিয়াল সহ সততা, সোনালী, অঙ্গীকার, মেধাবী সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি গুলো থেকে তাদের টাকা সংগ্রহ শুরু করেন। এতে কোনঠাসা হয়ে পড়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো। শুরু করে নানা তালবাহানা।

আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার মকলেচুর রহমান জানান, গ্রাহকরা প্রায় কয়েক কোটি টাকা পাবে। গ্রাহকদের টাকা নিয়েই তো স্যার ব্যবসা করে আসছিলেন।এখন সবাই টাকা ফেরত চাওয়া স্যার সহ আমরা বিপদে পড়ে গেছি। এছাড়াও বোশ কয়েকটি শাখার কার্যক্রম ও প্রায় বন্ধের পথে।

আইডিয়ালে কর্মরত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন গ্রাহকদের চাপাচাপিতে শো রুমে থাকা মোটর সাইকেল, ফ্রিজ সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্রয় করা জমিও বিক্রি হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় বাম্দী পেট্রোল পাম্প এলাকায় কেনা জমি ইতিমধ্যে বজলুর রহমান বিক্রি করার ঘোষনা দেওয়ায়। সেটিও বাইনা নামার প্রস্তুুতি চলছে। তবে সে যদি পালিয়ে যায় তাহলে গ্রাহকদের সাথে সাথে আমাদের মত যারা এখানে কর্মরত আছি তারা একেবারে পথে বসে যাবে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top