সকল মেনু

বেনাপোল বন্দরে কাদা-পানিতে পন্য খালাস মারাত্মক ব্যহত

 unnamedযশোর প্রতিনিধি: গত ৬ দিনের টানা বৃষ্টিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে হাটু পানি কাদায় যানজটে মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির কারনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘর থেকে ঠিকমত বের হতে না পারায় ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও অনেকটা স্থবিরতা নেমে এসেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপরিকল্পিত ভাবে বন্দরের উন্নয়ন কর্মকান্ডে  প্রতিবছর জলবদ্ধতায় এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও সমাধানের প্রতি তেমন নজর নেই।
রোববার(২৮ জুন) সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর অভ্যন্তরে গিয়ে দেখা যায় পানি নিস্কাসনের ড্রেনগুলো অচল হয়ে পড়ায় বন্দর অভ্যন্তরে হাটু পানি, কাদা জমেছে। এরই মধ্যে ভোগান্তিতে কোন রকমে থেমে থেমে পন্য খালাস কার্যক্রম চলছে। খোলা আকাশের নিচে মুল্যবান পন্য সামগ্রী ভিজে তার গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে। পচনশীল পন্য খালাসের জন্য  বন্দর অভ্যন্তরে ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় ট্রাকগুলো খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। বন্দরের পন্য গুদামগুলো পাশের সড়কের চেয়ে পরিমানমত উচুতে না হওয়ায় বৃষ্টির পানি সহজে পন্যগারের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। বন্দরে খোলা আকাশের নিচে অনেক পন্য পানিতে ডুবে রয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে বন্দর সড়কের দু’ধারে হাটু কাদা জমে পন্যবাহী ট্রাক আটকে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এসব সমস্যায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পন্য খালাসের কার্যক্রম।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতি অর্থবছর সরকারের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি এখানে। অপরিকল্পিত ভাবে বন্দরের উন্নয়নে সামান্য বৃষ্টি হলে বন্দর অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পন্য খালাস কার্যক্রম মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বন্দরের পন্যগারে স্থান সংকটে দিনের পর দিন আমদানি পন্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকছে। এতে একদিকে সময় মত পন্য সরবরাহ করতে বিলম্ব হচ্ছে অন্যদিকে ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচের খেসারত বহন করতে হিস সিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কোটি কোটি টাকা মুল্যের পন্য খোলা আকাশের নিচে থাকায় প্রায়ই এসব পন্য চুরি ও পাচার হয়ে যাচ্ছে। এসব সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হলেও সমস্যা সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষের তেমন আগ্রহ দেখা যায়না।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থরবন্দরের উপপরিচালক ট্রাফিক আব্দুল জলিল বলেন, প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজের জন্য উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top