সকল মেনু

সমাজে-সংগ্রামে ওরা অনির্বাণ

Ila1435343041

নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৭ জুন : ‘এ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর-অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।’এই যে এত মহান সৃষ্টি তাতে অবশ্য সব নারীর সমান অংশগ্রহণ নেই। কেউ কেউ দেশ ও দশের জন্য একটু বেশি অবদান রেখেছেন। সেই অবদানের জন্য তারা এখন প্রাতঃস্মরণীয়।
এই উপমহাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অবদানের জন্য যেসব নারীর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ্য তাদের অন্যতম ইলা মিত্র ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ভূস্বামী ও ব্রিটিশ বেণিয়াদের শৃঙ্খল ভেঙে ন্যায অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেসব মানুষের নাম ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, তাদের মধ্যে এই দুটি নামের দ্যুতি আজো আমাদের আলোকিত করে, পথ দেখায় শোষণমুক্ত সমাজের, রাষ্ট্রের। তারা একদিকে যেমন স্বাধিকার, স্বদেশি আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক, অন্যদিকে তারা নারীদের এগিয়ে যাওয়ার মাইলফলক।তারা মানবমুক্তির অমর, ম্লান, অনির্বাণ শিখার মতো বেঁচে আছেন আমাদের মধ্যে। বলছি তাদের কথা, নারীদের বীরত্বের গাথা, সমাজে-সংগ্রামে তাদের অবদানের কথা।
ইলা মিত্র
এক মানবতাবাদী, সংগ্রামী নারীর নাম ইলা মিত্র। তিনি ছিলেন বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি।  সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন। তবুও এক পা সড়ে আসেননি আদর্শের জায়গা থেকে। ১৯৪৭-৫০ খ্রিস্টাব্দে নাচোলে অনুষ্ঠিত তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। জীবনের শুরুর দিকে ইলা মিত্র গোটা ভারতবর্ষের দৃষ্টি কেড়েছিলেন কৃতী ক্রীড়াবিদ হিসেবে। ১৯৩৬ থেকে টানা তিন বছর জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের বাংলা চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ১৯৪০ সালে ভারতের হয়ে জাপান অলিম্পিকে খেলতে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি । এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সুর বেজে উঠলে  অলিম্পিক প্রতিযোগিতা স্থগিত হয়। ফলে তার আর অলিম্পিকে খেলা হয়নি। কিংবদন্তি এই নারী ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় ইলা মিত্র ছিলেন ইলা সেন। তার বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন বৃটিশ সরকারের অধীন বাংলার একাউন্টেন্ট জেনারেল। তাদের আদি নিবাস ছিল ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে তারা সবাই কলকাতায় থাকতেন। এ শহরেই বেড়ে ওঠেন তিনি। সেখানে ১৯৪৫ সালে বেথুন কলেজ থেকে তিনি বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি কলিকাতা মহিলা সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ২০ বছর বয়সে ১৯৪৫ সালে দোল পূর্ণিমার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার রামচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ির ছেলে রমেন্দ্রনাথ মিত্রের সঙ্গে ইলা সেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি ইলা মিত্র নামে পরিচিত হন। ১৯৪২ সালে এ দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন কৃষকদের ওপর বেড়ে যায় শোষণের মাত্রা। কৃষকরা শুরু করে ‘তিন ভাগের দুইভাগ ফসল’ এর জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলন চলে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পরেও। এই সময় পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়। সরকারের দমননীতির কারণে কমিউনিস্ট ও কৃষক আন্দোলনের নেতারা আত্মগোপন করেন। ইলা মিত্র এবং রমেন্দ্র মিত্রও নাচোলের চণ্ডিপুর গ্রামে আত্মগোপন করেন। এই গ্রামে ছিল সাঁওতাল নেতা ও প্রথম সাঁওতাল কমিউনিস্ট মাতলা মাঝির বাড়ি। তেভাগা আন্দোলন একটি বাস্তব রূপ লাভ করে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানাভাবে কৃষকদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও ৫ জন কনস্টবল নিহত হয় আন্দোলনকারীদের হাতে। এর পরই শুরু হয় পুলিশ ও সৈন্যদের অত্যাচার নির্যাতন।১৯৪৫ সালে বৃটিশ শাসনের শেষ দিকে ইলা মিত্র ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে। স্বামী রমেন্দ্র মিত্র এবং তার বন্ধু আলতাফ মিয়া মিলে শুরু করেন একটি বিদ্যালয়। জমিদারবাড়ির অদূরের কৃষ্ণ গোবিন্দপুর স্কুলে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। তিন জন ছাত্র নিয়ে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কাজ শুরু করেন। এক বছর পর স্কুলের ছাত্র সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ জনে। এই স্কুলকে কেন্দ্র করেই তার সংগ্রামী জীবন শুরু হয়। ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রম শুরু করেন তিনি এবং এ সময়েই তিনি মিশে যান কৃষক মজুরদের সঙ্গে। তখন থেকেই ওই এলাকার মানুষ ইলাকে রাণী মা বলে সম্বোধন করতেন। জমিদার বাড়ির গৃহবধূ হয়েও ইলা হয়ে ওঠেন স্থানীয় কৃষক সম্প্রদায়ের নেত্রী। ফ্লোড কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়ন এবং কৃষকদের জমি ভাগাভাগির বিষয় দুটি নিয়ে পুরো দেশ তখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। নাচোলের কৃষকরাই ছিল আন্দোলনের পুরোভাগে। এই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিল সাঁওতালরা। এই আন্দোলনই আজ ইতিহাসে ‘নাচোল বিদ্রোহ’, ‘তেভাগা আন্দোলন’ বা ‘নাচোলের কৃষক আন্দোলন’  নামে পরিচিত। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ইলা মিত্র। ১৯৪৬ সালে ইলা মিত্র তার দলের সবাইকে নিয়ে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করার জন্য আন্দোলন করেন। ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার দুই দিন পর নাচোলে প্রায় ২ হাজার সেনা পাঠায়  শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু সেনারা ওই এলাকায় ব্যাপক মারপিট করে এবং গুলি করে শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং জ্বালিয়ে দেয় ১২ টি গ্রামের কয়েকশ বাড়ি-ঘর।  পরে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে রহনপুর থেকে ইলা মিত্র তার ১০০ অনুসারীসহ গ্রেফতার হন। নাচোল থানায় তার ওপর চলে  অমানুষিক নির্যাতন। প্রথম ধাপে  চার দিন চলে এই নির্যাতন। প্রচণ্ড জ্বর এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নেওয়া হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে। একই মাসের ২১ তারিখে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর সেখানেই শুরু হয় নির্যাতনের দ্বিতীয় ধাপ। তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। রাজশাহী আদালতে দেওয়া জবানবন্দি থেকে তা জানা যায়। এর পর ইলা মিত্রকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে নির্যাতনের তৃতীয় ধাপ চলে। মুমূর্ষু অবস্থায় ইলা মিত্রকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে ১৯৫৪ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের পাঁচ সদস্যের এক কমিটি তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ইলা মিত্রকে দেখতে তখন ঢামেক হাসপাতালে ছুটে যান শত শত ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের লোকজন। শেষ পর্যায়ে সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে কলকাতা যাওয়ার অনুমতি দেয়। এর পর তিনি আর ফিরে আসেননি। ১৯৬২ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ভারত সরকারও তাকে কম হয়রানি করেনি। ওই দশ বছরে তাকে চার বার গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। শত বাধা সত্বেও ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি মাণিকতলা আসন থেকে চার বার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয় সহযোগিতা করেন। ৭৭ বছর বয়সে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাঙলার মানুষের জন্য রেখে যান তার আদর্শ।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
ইতিহাসের পাতায় যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। স্বাধীনতার জন্য তিনি যে প্রদীপ জ্বেলেছিলেন তার আলোয় আমরা আলোকিত। দেশর জন্য, স্বাধীনতার জন্য যে নারীরাও কিছু করতে পারে তা দেখিয়েছেন বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন নারীরা কীভাবে দেশের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে পারে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যিনি পরাক্রমশালী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন । আত্মদান করে প্রমাণ করেছেন, মেয়েরাও পারে। ধলঘাটের দক্ষিণ সমুরা এলাকায় ১৯১১ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তার বাবা ছিলেন মিউনিসিপাল অফিসের হেড কেরানি জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার। মা প্রতিভা দেবী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে প্রীতি দ্বিতীয়। প্রীতি ছিলেন অন্তর্মুখী, লাজুক ও মুখচোরা স্বভাবের। প্রীতিলতা লেখাপড়া করেছেন ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকার ইডেন কলেজ ও কলকাতার বেথুন কলেজে। বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের সহায়তায় ১৯২৮ সালে মাস্টারদা সূর্যসেনের বিপ্লবী দলের সদস্য হন প্রীতিলতা। দলে ঢোকার শর্ত হলো, ‘প্রয়োজন হইলে দেশের মুক্তি সংগ্রামে আমার সর্বস্ব, আমার জীবন পর্যন্ত আমি ত্যাগ করিতে প্রস্তুত।’ মাস্টারদা সূর্যসেনকে গুরু মেনে স্বদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি । পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রামের খাস্তগীর স্কুলে। পরে ইডেন কলেজে এসে আইএতে ভর্তি হন। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংকশনসহ বিএ পাস করেন। পরে চট্টগ্রামে ফিরে এসে অপর্ণাচরণ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ইডেন কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী সংগঠন `দিপালী সংঘের’ সঙ্গে যুক্ত হন। চট্টগ্রামে তিনি বিপ্লবী মেয়ে সদস্য ও ছাত্রীদের নিয়েও একটি চক্র গড়েন। সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের পরিকল্পনা করতে গিয়ে বোমা বানানোর খোল আনার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রীতির চক্রকে। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রামে পাহাড়তলীস্থ ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমনের সিদ্ধান্ত হলে সূর্যসেন এই অভিযানের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেন প্রীতিলতাকে। তৎকালীন ইউরোপিয়ান ক্লাব ছিল ব্রিটিশদের প্রমোদ কেন্দ্র। পাহাড়ঘেরা এই ক্লাবের চতুর্দিকে ছিল প্রহরী বেষ্টিত। এই ক্লাবের ফটকে লেখা ছিল ‘কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।’ ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের আগে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ কাট্টলীতে যোগেশ মজুমদার নামের ওই ক্লাবেরই একজন বেয়ারার বাড়িতে তারা আশ্রয় পেলেন। ২৪ সেপ্টেম্বর বিপ্লবীদের আশ্রয়দাতা যোগেশ মজুমদার প্রথমে ক্লাবের ভেতর থেকে রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ এর দিকে আক্রমণের নিশানা দেখিয়ে দেন এবং এর পরেই ক্লাব আক্রমণ করা হয়। সেই দিনের আক্রমণে অনেক ব্রিটিশ নিহত হলেও পুলিশের রিপোর্টে মাত্র একজন নিহত ও ১১ জন আহতের খবর প্রকাশ করা হয়। আভিযানের শেষে ফেরার সময় আত্মগোপনকারী এক ইংরেজ তরুণের গুলিতে আহত হন। আহত অবস্থায় ধরা পড়ার চেয়ে আত্মাহুতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রীতিলতা। তিনি তাৎক্ষণিক পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাত্র ২৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার আত্মদান বাঙলা ও ভারতের বিপ্লবীদের আরো উদ্দীপিত ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সক্রিয় করে তোলে। মৃতদেহের পোশাকে নিজ হাতে লেখা বিবৃতিতে এক জায়গায় লেখা ছিল, ‘আমরা দেশের মুক্তির জন্যে এই সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি। অদ্যকার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ স্বাধীনতাযুদ্ধের একটি অংশ। ব্রিটিশরা জোরপূর্বক আমাদের স্বাধীনতা ছিনাইয়া লইয়াছে।  সশস্ত্র ভারতীয় নারী সমস্ত বিপদ ও বাধাকে চূর্ণ করিয়া এই বিদ্রোহ ও সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনে যোগদান করিবেন এবং তাহার জন্য নিজেকে তৈয়ার করিবেন- এই আশা লইয়া আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।’ তাদের অবদান যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে দেশ। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে তাদের। মরেও অমর হয়ে থাকবেন কর্মের জন্য।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top