সকল মেনু

গ্রামীণের ৮৫ লাখ ঋণগ্রহিতা কারো চাকরি করছে না

yunus1433159119নিজস্ব প্রতিবেদক হটনিউজ২৪বিডি.কম: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৫ লাখ ঋণগ্রহিতা কারো চাকরি করছে না। তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি মানুষই বিরাট সম্ভাবনার। তাকে প্রচলিত চিন্তায় চাকরি পাওয়া না পাওয়ার গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা বিরাট সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেওয়া।’

সোমবার মিরপুর-১৪ এ অবস্থিত পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘সোশ্যাল বিজনেস একাডেমিয়া-২০১৫’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনূস বলেন, ‘নতুন সভ্যতা সৃষ্টি করতে হবে। পুরনো সভ্যতার দিন শেষ। নতুন সভ্যতায় আবর্জনা থাকবে না, বেকারত্ব থাকবে না। তরুণরাই সে সভ্যতা প্রবর্তন করবে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পারতে হবে আমাদের, উপায়তো নেই। না হলে পরিবেশ তাড়িত রিফিউজি হতে হবে। নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আমরা পারব। আমাদের বর্তমান কাঠামোতে গলদ রয়ে গেছে। এখনই ঠিক না রাখলে সমস্যা অনেক বেড়ে যাবে। অর্থনৈতিক ধ্যান-ধারণা থেকে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, পৃথিবী ঠিকই আছে। আমরা অচল করে রেখেছি তাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ধরনের অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছি, তাতে ধনীরা ক্রমশ সম্পদশালী হয়। কিন্তু যারা সম্পদশালী নন, তারা ক্রমশ নিচে নামেন। কিন্তু কোনো মানুষের দোষে এটি নয়। শোষণযন্ত্রের দায়েই এমনটি হচ্ছে। তাই এ যন্ত্রই সংশোধন করতে হবে। নইলে সম্পদের ক্রমাগত পুঞ্জিভূত হওয়ার যে প্রক্রিয়া বিল্ট-ইন হয়ে আছে, তা থেকে বের হওয়া সম্ভব না। যে যতো মুনাফা করবে, সে ততই সফল ও উজ্জীবিত, অন্যদিকে কেবলই অন্ধকার থাকবে। সম্পদের দিকে যারা নিচে, তারা ক্রমশই অসহায় হয়ে পড়ছেন।’

ব্যবসায় শুধু ব্যক্তিগত মুনাফার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এক ‘পি’ এর (পারসন) সঙ্গে অন্য দুটি ‘পি’ এর (পিপল, প্ল্যানেট) দিকে মনোযোগ দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবসার মাধ্যমে গ্রহে সমস্যা তৈরি করছি। ব্যবসায় কল-কারখানা থেকে যে কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, তাতে পৃথিবীর ক্ষতি হচ্ছে। উষ্ণতা বাড়ছে। এক ডিগ্রি বেড়ে গেছে, দুই ডিগ্রি পর্যন্ত গেলে আর উপায় থাকবে না। এখনো একটু সময় আছে, তাই তাপের বৃদ্ধি থামিয়ে নিচে নামাতে হবে।’

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান ডা. এস কাদির পাটোয়ারির সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমাজসেবামূলক সংস্থা হেলথব্রিজের কান্ট্রি ডিরেক্টর দেবরা ইফরমসন, উপাচার্য ড. এ কে এম মোহসীন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top