সকল মেনু

গোপালগঞ্জে বারি তিলের বাম্পার ফলন

unnamed  গৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি তিল ৩ ও ৪ আবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
গতকাল শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুরে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবস থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে প্রতি হেক্টরে প্রায় দেড় টন তিল উৎপাদিত হবে বলে । গোপালগঞ্জে তিলের আবাদ কৃষক ১৫ বছর আগে বন্ধ করে দেয়। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এ বছর উদ্যোগ নিয়ে আবার কৃষকদের দিয়ে তিলে চাষ শুরু করে।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর আয়োজিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচাল ও বারির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহাবুবুর রহমান খান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বারি খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রশান্ত কুমার সরদার ও পিএসও ড. মহিউদ্দিন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারনের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী।
গোপালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসী রহমান, কৃষক মোঃ জিল্লিুর রহমানসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ৪৪০ হেক্টর জমিতে বারি তিল ৩ ও ৪ জাতের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৫ শ’ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকুলে ধাকায়  ক্ষেতে তিলের বাম্পার ফলেন হয়েছে। এ কারনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ ধারনা করছে।
হরিদাসপুরের কৃষকমোঃ জিল্লুর রহমান জানান, আগে আমার কলাই ও পাট আবাদ করতাম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউটের সরেজমিন গবেষনা বিভাগের গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আমাদের পাশে এসে দাড়িয়ে উন্নত চাষাবাদের কলা কৌশল শিখাচ্ছে। এখন আমার দুই ফসলের জমিতে ৩ ফসল করছি। এর আগে এ জমিতে আমরা  সরিষা উৎপাদন করেছি। সরিষা তুলেই তিল আবাদ করেছি। তিল কাটার পর ধান আবাদ করব। ওই প্রকল্পই আমাদের কৃষির আমূল পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মোল্লা বলেন ক্ষেতে প্রচুর পরিমানে তিল ধরেছে। এতে প্রচুর লাভ হবে বলে আমি ধারনা করছি।
গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বারির উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  এইচ এম খায়রুল বসার বলেন, বারি তিল ৩ জাতের তিল হেক্টরে ১২ শ’ থেকে ১৪ শ’ কেজি ও বারি তিল ৪ হেক্টর প্রতি ১৫ শ’ কেজি ফলেছে। তিলে ৪৫ ভাগ তেল আছে। এটি বাংলাদেশর তৃতীয় প্রধান ভোজ্য তেল । এ তেলে মাছ মাংসের সমান ২০ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। কোন কোলষ্টোরেল নেই। তিল তেল নিরাপদ ভোজ্য তেল। স্থানীয় জাতের তিল হেক্টরে ৫ শ’ থেকে ৬ শ’ কেজি ফলে। কিন্তু বারি তিল হেকক্টরে ফলে প্রায় ১৫ শ’ কেজি। ১ কেজি বারি তিল থেকে সাড়ে ৪ শ’ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। কিন্তু স্থানীয় জাতের ১ কেজি তিলে মাত্র ২শ’৫০ গ্রাম তেল উৎপাদিত হয়।  তিল আবাদ এখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আবার তিল চাষ শুরু করেছি। তিল চাষে কৃষক লাভবান হবেন। আগামীতে এখানে তিলের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top