সকল মেনু

দুর্গাপুরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী আমেনা এখন হাসপাতালে

unnamed বিজন কৃষ্ণ রায়,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা): নেএকোনার দুর্গাপুরের চন্ডিগড়ের পাথারিয়া গ্রামের পাষন্ড স্বামী আবু তাহের(৩৬) এর নির্যাতনে স্ত্রী আমেনা খাতুন(৩০)এর স্থান হলো হাসপাতালের বিছানায়।নির্যাতনের সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে ৭ মে ২০১৫ ইং বৃহস্পতিবার । আমেনা খাতুন বর্তমানে দুর্গাপুর সরকারী হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড ৭ নং বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায় আবু তাহের বনাম আমেনা খাতুন এর মধ্যে ২৬ ফেব্রয়ারী/১৫ থেকে দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেযৌতুকের মামলা চলে আসছিলো। স্বামীর দাবী প্রত্যাহার সহ স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিবে শান্তিপূর্ন ভাবে সংসার করিবে এই মর্মে  বিগত ৭/৫/২০১৫ ইং তারিখ আদালতে আবেদন জানালে আদালত তা গ্রহন পূর্বক মামলাটি নিস্পত্তির আদেশ দেন। ঐ দিনই আদালত থেকে পাষন্ড স্বামী আবু তাহের পাথারিয়া গ্রামে স্ত্রী আমেনাকে তার নিজ বাড়ীতে নেওয়ার পর পরই তোকে মামলা করার সাধ মিটিয়ে দেব বলে আমেনাকে মারপিট শুরু করে তাকে বেদম প্রহার করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা,ফাটা ও ফোলা জখম করে এক পর্যায়ে তাহের আমেনাকে কুপ দিতে চাইলে তা প্রতিরোধ করতে  গিয়ে আমেনার বাম হাতের মধ্য আঙ্গুল কেটে জখম হয় এতে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান। আমেনা কান্না সুরে প্রতিনিধিকে জানান তাকে বেদম মারপিট করার পর বিষাক্ত তরল পদার্থ তার মুখে ঢেলে দেয় এবং পরক্ষনই পানিতে গুবর মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। নির্যাতনের খবর পেয়ে আমেনার বাবা কতক লোকজন সাথে নিয়ে তাহেরের বাড়ীতে আসে এবং তাৎক্ষনিক আমেনাকে দুর্গাপুর সরকারী হাসপাতালে রাতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রাফিউল ইসলাম জানান, আমেনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ সময় লাগতে পারে। উল্ল্যেখ যে ১৩ বছর পূর্বে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের মৃত আঃ মন্নাফ এর পুত্র আবু তাহেরের সহিত একই উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর নাওধারা গ্রামের মোঃ তালেব আলীর কন্যা মোছাঃ আমেনা খাতুন এর বিয়ে হয়, এরই মাঝে তাদের ১ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ঐ সময় সামাজিক ভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলেও বর পক্ষের তালবাহানার কারণে বিবাহের কাবিন বা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। প্রকাশ থাকে যে সর্বশেষ ঘটনার দিন অর্থাৎ ৭/৫/২০১৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বের হবার পর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করতঃ এই দম্পত্তির কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। এর পরই ঘটে এই অ-মানবিক ঘটনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top