সকল মেনু

দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তান ২২৭/১

212031ঢাকা: নিশ্চিত দুটি ক্যাচ মিস। ম্যাচ মিস সেখানেই শেষ হয়ে গেল কি না টেস্ট শেষে বলা যাবে। তবে, খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বলা যায়, রানের পাহাড়ই গড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে মিসবাহ-উল হকদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান। বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে মাত্র ১০৫ রান।
রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করছে মোহাম্মদ হাফিজ আর আজহার আলিরা। ২২৭ রান তুলতে পাকিস্তান খেলেছে মাত্র ৫৮টি ওভার। সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। দিন শেষে ১৩৭ রানে অপরাজিত থাকলেন হাফিজ। ফিফটি করার পর সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন আজহার আলিও। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৬৫ রানে। পুরো দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শুধুমাত্র অভিষিক্ত সামি আসলামের উইকেটটিই।

ওয়ানডে আর টি২০’র মত যে টেস্ট সিরিজ হবে না সেটা আগেই ধারনা করা ছিল। খুলনা টেস্টে সেটারই প্রমান দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় দিন শেষেই বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের শক্তির পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় উইকেটে হেসে খেলে ১৭৭ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন হাফিজ-আজহার আলি।

৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে তখনও বাকি সাকিব-মুশফিকের মত ব্যাটসম্যান। এরপর ছিলেন সৌম্য সরকার, শুভাগত হোমরা। কিন্তু ওয়ানডে আর টি২০ মেজাজ যে টেস্ট খেলতে এসে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি, সেটা খেলা দিয়েই প্রমান করলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্বাগতিকদের ৩৩২ রানে বেধে ফেলে দ্বিতীয় দিনের প্রায় অর্ধেক খেলা বাকি থাকতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান।

দলীয় ৫০ রানের মাথায় সামি আসলামকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এরপর আর কোন চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি সফরকারীদের ওপর। দুটি নিশ্চিত ক্যাচ মিস না হলেও অবশ্য চাপটা সৃষ্টি করার সুযোগ থাকতো। কিন্তু সেটা হেলায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১২৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করে হাফিজ বুঝিয়ে দিলেন, খুলনার উইকেটে কিভাবে রান তোলা যায়। আজহার আলি ওয়ানডেতে যেমন ছিলেন, তেমনি ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন টেস্টেও। হাফ সেঞ্চুরির পর এখন যেন সেঞ্চুরি পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে তার জন্য।

খুলনায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের ধার বলতে কিছু নেই। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুশফিক ৮জন বোলার ব্যবহার করলেন। কোন লাভই হলো না। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মত পারলে মুশফিক নিজেও বোলিং করতেন হয়তো।

তৃতীয় দিন প্রথম সেশনটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেটে সেট হয়ে বসা আজহার আর হাফিজের জুটি ভাঙাই নয় শুধু, দু’জনকেই ফেরাতে হবে দ্রুত। এরপরও কিন্তু স্বস্তি থাকার কথা নয়। কারণ, এরপর রয়েছেন মিসবাহ-উল হক, ইউনিস খানের মত ব্যাটসম্যানরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top