সকল মেনু

নীলফামারী জেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

 unnamedমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ২৯ এপ্রিল: নীলফামারী জেলায় কাঁঠালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবণা দেখা দিয়েছে।  আজকে কাঁঠাল শুধুমাত্র একটি মৌসুমী ফলই নয়- সহায়ক খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বকীয় গুণাগুনের কারণেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে। নীলফামারী জেলা ও তার আশেপাশে সর্বত্র এখন কাঁঠাল গাছগুলিতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। আগাম জাতের কাঁঠালগুলি সপ্তাহখানেকের মধ্যে পাকতে শুরু করবে। পাকা কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করবে গাছে গাছে। আর সেই আনন্দে  মালিকরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মৌসুমে বাংলার প্রিয় জাতীয় ফল কাঠালের মিষ্টি রসে চিড়া, মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগান ভিত্তিক না হলেও বাড়ীর আঙিনায়, রাস্তার দু’ধারে, স্কুল, কলেজের চত্তরে প্রচুর কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে। আর এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠলের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। চারা লাগানোর পর সাধারনত এর কোন যতœ নেয়া হয় না। শুধুমাত্র গরু- ছাগলের আক্রমন ও ঝড়ে যাতে ভেঙ্গে না পড়ে তার জন্য বড়জোর একটা খুঁটি ও খাঁচা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁঠালের চারা আপনা থেকেই বেড়ে উঠে। এককথাই অনাদর আর অবহেলায় বান-বাদারে বেড়ে উঠে ফলের রাজা কাঁঠাল। অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয়না। কোন কোন পরিবার মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় করে। ২ থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম এসময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেনীর লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কাঁঠালের ভাল ফলনের আশা করছে অনেকে। তবে ফলন বেশি হলে দাম না পাওয়ার আশংকাও রয়েছে। কারণ বেশি ফলনে দাম পড়ে যাওয়ার রেওয়াজ আদিকালের। অভাবের কারণে অনেকে কাঁঠালের গাছ বিক্রি দিচ্ছে। আসবাবপত্র প্রস্তকারী ও ব্যবসায়ী এসব নামমাত্র মূল্যে কিনে ফায়দা লুটছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে গাছগুলো ফলে ফলে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত  ফল ধরেছে। কৃষিপণ্য কাঁঠাল মুলত: একটি মৌসুমী সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচি তরকারীতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় কোন কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার বাবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিবছর। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থ’া গড়ে তুললে মঙ্গাপীড়িত এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top