যৌনতার দায়ে চাকরি খোয়া গেছে নেদারল্যান্ডসের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪৬ বছরের শীর্ষ নারী কর্মকর্তার। তবে তাতে যে তার বিশেষ আক্ষেপ রয়েছে, এমন কথা ঘোর শত্রুও বলতে পারছেন না।
কঞ্চিতা ভ্যান ডার ওয়াল
দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকে চাকরির পাশাপাশি যৌন ব্যবসা চালান ওই নারী কর্মী। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেননি রাশভারী এই নারীই সূর্যাস্তের পর আপাদমস্তক বদলে যান। অফিস ছাড়ার পর যৌনতাই হয়ে ওঠে তার বিকল্প পেশা।
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন
নিজের নাম পাল্টে দেহ ব্যবসার রাজ্যে তিনি হয়ে ওঠেন মক্ষীরানি কঞ্চিতা। যৌনতৃষ্ণা মেটাতে সেই সময় তার প্রতি ঘণ্টার দাম দাঁড়ায় ৪৫০ ইউরো। এই মোটা অর্থের বিনিময়ে অভিনব কৌশলে গ্রাহকদের যৌনসুখের চরমে পৌঁছে দিতে তিনি সক্ষম। এভাবে সপ্তাহে ১০ হাজার ইউরো রোজগার করেন তিনি।
সম্প্রতি অনলাইনে ছলনাময়ীর গোপন জীবনের বেশ কিছু ছবি ফাঁস হওয়ার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে
ওই সমস্ত ছবিতে দেখা গেছে, নাজি সামরিক পোশাকে সেজে ক্যামেরার সামনে শারীরিক আবেদন মেলে ধরতে দ্বিধা করেননি কঞ্চিতা।
শুধু তাই নয়, ওই ওয়েবসাইটে তিনি স্বীকার করেছেন, অর্থনেতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করলেও দেহ ব্যবসায়ী হিসেবে আমার গোপন জীবন উপভোগ করি। প্রকাশ্য পেশাগত জীবনে আমার সহকর্মী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারলে জানি না কী মনে করবেন।
কঞ্চিতার আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হয়েছে। তার গোপন পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার পর ডয়েশ ব্যাংকের চাকরিটা গেছে।