সকল মেনু

সারাদেশে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে

1425038924_131833নিজস্ব প্রিতেবদক :মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা দুইদিনের হরতাল চলছে।
সোমবার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মঙ্গলবার ও বুধবার সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়। বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল সফল করার জন্য দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াতের ডাকা হরতালকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যৌথ টহল টিম নামানো হয়েছে। দেশের অন্যান্য নগর মহানগর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। হরতালের সমর্থনে মিছিল-পিকেটিং ঠেকাতে সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া হরতালে যে কোন সহিংসতা মোকাবেলায় পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি সারা দেশে ২৪৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষিপ্ত মিছিল-পিকেটিং করেছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে সড়কে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে তেমন কোন সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালে সকালে রাজধানীতে সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কম।
ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক। তবে গাবতলি, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে দূরপাল্লার হাতেগোনা কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন নগর-মহানগরসহ জেলায়ও চলছে শান্তিপূর্ণ হরতাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক প্রহরার মধ্যেও হরতাল-অবরোধের সমর্থনে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত মিছিল-পিকেটিং করছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ, রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটেছে ককটেল বিস্ফোরণ। জেলা সদর, নগর-মহানগরগুলোর আন্তঃমহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় কিছু হালকা যানবাহন চলাচল করার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার বিবৃতিতে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডকে হত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ বলেন, সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে নেতাদের হত্যা করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। মিথ্যা, সাজানো ও বায়বীয় অভিযোগে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে এবং দলীয় লোকদের দিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে তাকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেছে।
আপিল বিভাগের রায়ে হতাশা প্রকাশ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এ বয়সের একজন তরুণের বিরুদ্ধে সরকারের আনীত অভিযোগ কত গভীর ষড়যন্ত্রমূলক তা সবার কাছে স্পষ্ট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top