সকল মেনু

যবিপ্রবিতে আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

unnamed যশোর প্রতিনিধি: দ্বিতীয় দিনেও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসে উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে ভিসির অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধসহ তার অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এ নিষিদ্ধাদেশ অমান্য করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ নামে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অপসারণ, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু দাবি জানায়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রশাসিনিক ভবনের সামনে সমাবেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ভিসি ক্যাম্পসকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। এটা তার বাপ-দাদার সম্পতি বানিয়ে ফেলেছে। চিহ্ণিত জামায়াত-মিবিরের ক্যাডারদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ ভিসির অপসারণ দাবি করেন। এসময় বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাকিল আহমেদ, রাশেদুজ্জামান রাজু, আশিকুজ্জামান অয়ন, ওহিদুজ্জামান প্রমুখ।এদিকে সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আজ বেলা ৩ টায় প্রেস ক্লাব যশোরে সাংবাদিক সন্মেলন করে ছাত্ররা। তারা বলেছে তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলবে। সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখবে। সাংকাদিক সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন জীন প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র শেখ সাকিল আহম্মেদ। এ সময় ফার্মাসিষ্টাগের ছাত্র সাব্বিার আহমেদ, অনুজীব বিভাগের শফিকুল ইসলাম, কেমিকেল বিভাগের ফয়সাল আহমেদ, হলাল উদ্দিন, শিমেল আল হিমেল ওয়াহেদুজ্জামানসহ প্রায় ২০ জন সাধারন ছাত্র এই সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সন্মেলনে সাধারন ছাত্ররা অভিযোগ করেন ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত শিবিরের পোষ্টেট লিডারদের নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালঢকে জমাতের আখড়ায় পরিণত করতে চলেছে। ভিসি দূণীতির বিরুদ্ধে ছাত্ররা যখনই আন্দোলন শুরু করে তখনই এই ভিসি কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করেন। সাধারন ছাত্রদের দাবি শনিবার বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ১০ জন ছাত্রকে বহিস্কার করেছে তাদের দোষ তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শ্লোগান দিয়েছে। এই কারনেই তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করার অপরাধে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১০ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যবিপ্রবি এ্যাক্ট এবং কোর্ড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনার অধিকতর তদন্তে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।ট্রেজারার প্রফেসর শেখ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে শনিবার দুপুরে নিজস্ব কনফারেন্স রুমে যবিপ্রবি প্রশাসনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা অংশ নেন। তবে উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার খুলনায় অবস্থানের কারণে তিনি সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top