আব্দুল ওয়াহাব মুকুল : চীনের প্রযুক্তি নিয়ে গোলাপ কুঁড়িতে রোজক্যাপ ব্যবহার করে যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা ও ঝিকরগাছায় ফুলচাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। গোলাপের আশানুরূপ দাম পেয়েও তারা বেজায় খুশী।
যে গোলাপ ফুলটির দাম ছিল মাত্র দুই টাকা প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সেই ফুলটি এমন ভাবে বিকশিত হচ্ছে যে তার দাম বেড়ে গিয়ে পড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। এজন্য এই প্রযুক্তির ফুল বিদেশেও রপ্তানীর চাহিদা বাড়ছে। মানের দিক দিয়েও এই ফুলের কদর বোশ। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ফুল চাষীদের খরচ পড়ছে মাত্র ৫০ পয়সা।
আসলে রোজক্যাপ হলো স্থিতিস্থাপকতা গুণ সম্পন্ন চীনের প্রযুক্তি। নিয়ে গোলাপ কুঁড়িতে রোজক্যাপ ব্যবহার করে যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা ও ঝিকরগাছায় ফুলচাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। গোলাপের আশানুরূপ দাম পেয়েও তারা বেজায় খুশী। যে গোলাপ ফুলটির দাম ছিল মাত্র দুই টাকা প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সেই ফুলটি এমন ভাবে বিকশিত হচ্ছে যে তার দাম বেড়ে গিয়ে পড়েছে ১৫ টাকায়। শুধু তাই এই প্রযুক্তির ফুল বিদেশেও রপ্তানীর চাহিদা বাড়ছে। মানের দিক দিয়েও অন্য ফুলের চেয়ে বিকল্প নেই ফুলের। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ফুল চাষীদের খরচ পড়ছে মাত্র ৫০ পয়সা।
আসলে রোজক্যাপ হলো স্থিতিস্থাপকতা গুণ সম্পন্ন প¬াষ্টিকের এক ধরনের ক্যাপ। গোলাপের যখন কুড়ি হয় তখন ক্যাপটি ঐ কুড়িতে পরিয়ে দিলে কুঁড়িটি রক্ষা পায় পোকামাকড়ের উপদ্রব আর প্রাকৃতিক সকল ধরনের বিপর্যয় থেকে। যার কারণেই ক্যাপের ভিতর কুঁড়িটি একটি উন্নতমানের পূর্ণাঙ্গ গোলাপ হিসাবে প্রস্ফুটিত হয়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান ফুল চাষের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তিনি চীনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখেন এ রোজ ক্যাপ প্রযুক্তি। ফিরে এসে বাংলাদেশে উন্নতমানের গোলাপ উৎপাদনের জন্য রোজক্যাপ নামে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি ফুল চাষীদের জানান। কিন্তু চাষীদের এটা আগে জানা ছিলো না। তাছাড়া দেশে এই ক্যাপ তৈরি হয় না বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। প্রথমে তিনি নমুনা হিসেবে চীন থেকে কিছু ক্যাপ এনে ব্যবহার করে শতভাগ সুফল পেয়েছেন। ফ্লাওয়ার সোসাইটি ও ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে ফুলচাষীদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। সুফল পেয়ে অনেকেই এ প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
রোজক্যাপ ব্যবহার করে গোলাপ চাষে লাভবান হচ্ছেন গদখালির সরদার নার্সারি। এই নার্সারির মালিক রুস্তম আলী সরদার জানান, ২৮ বছর ধরে ফুল চাষ করছি। কিন্তু এ প্রযুক্তির কথা জানা ছিল না। সমিতির মাধ্যমে বিষয়টি জেনে আজ প্রযুক্তি নির্ভর চাষ করে যথেষ্ট লাভ হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে যে ফুল ফুটতো সেগুলো প্রতিটি বিক্রি হতো দুই টাকায়। এখন সেই ফুল এত উন্নত মানের হচ্ছে যে তার দাম উঠেছে সময়তে ১৫ টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয় এ ফুলের সবটায় রফতানি মানের। লাভের কথা জানান হাড়িয়া গ্রামের শাহজাহান কবির ও পানিসারা গ্রামের রফিকুল ইসলামও। তবে এই ক্যাপ প্রথম অবস্থায় আমদানি না হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছিল না। বর্তমানে আমদানী হওয়াতে এ ক্যাপ এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। ফুলচাষিদের কল্যাণে বিশেষ করে ফুল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের স্বার্থে রপ্তানিযোগ্য ফুল উৎপাদনের জন্য তারা রোজ ক্যাপ আমদানির ক্ষেত্রে আকাশ পথের চেয়ে সমুদ্র পথে অনুমোদন দিলে ফুল চাষীরা অনেক কম মুল্যে এটি ক্রয় করতে পারবেন।আর সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলচাষীরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।