নিজস্ব প্রতিনিধি : সুন্দরবনে বাঘ হত্যা করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। টাকার লোভে একাধিক চক্র নিধন করছে এই জাতীয় সম্পদ। ইতোমধ্যে হত্যাকরা ৩টি বাঘের চামড়া, মাংস, দাঁত ও হাড় উদ্ধার ও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে র্যাব। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঘ নিধন বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবন রয়েছে ৬হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। পরিসংখ্যান অনুসারে এখানে বাঘের সংখ্যা ৫’শটি। টাকার লোভে একাধিক চক্র বাঘ হত্যা করে বিদেশে পাচার করছে। হারবাল ওষুধ তৈরিতে বিদেশে বাঘের শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। বরিশাল র্যাব-৮ এর অফিসার ক্যাপ্টেন হাসিবুল হক বলেন,
হত্যা করা বাঘের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং জীবিত বাঘের বাচ্চা বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে একাধিক চোরাশিকারী চক্র কাজ করে যাচ্ছে, এই বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরথেকে মূলত আমরা কাজ শুরু করি এবং ইতিমধ্যে র্যাব-৮ বেশকিছু সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।
ইতোমধ্যে ৩টি বাঘের চামড়া, শরীরের বিভিন্ন অংশ সহ ১০জনকে আটক করেছে র্যাব। বরিশাল র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন,
চামড়া এবং শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গসহ পাচারকারী ১০ জনকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে আমাদের পরবর্তী অভিযানের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঘ নিধন বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। বাঘ নিধন রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোঃ হারুনর রশীদ খান বলেন, বাঘ, কুমির ও গাছ নিধন সবই বন্ধ করা উচিৎ, নইলে একসময় আমরা নিজেদেরকেই হারিয়ে ফেলবো।
খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে কিংবা ফাঁদ পেতে হত্যাকরা হচ্ছে সুন্দরবনের বাঘ। আটককৃতরা ৮ থেকে ১০টি বাঘ হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।