সকল মেনু

কক্সবাজার সীমান্তে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

rohinga-coxকক্সবাজার প্রতিনিধি : হঠাৎ করে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। অনুপ্রবেশকারীদের বারবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও নানা কৌশলে ফিরে আসছে তারা।

অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে এদেশের কিছু দালাল পরিকল্পিতভাবে অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। জড়িত রয়েছে কিছু এনজিও।

কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা ২শ’ ৭২ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১শ’ ৪৪ কিলোমিটারই কক্সবাজার এলাকায়। এর মধ্যে উখিয়া সীমান্তে কোথাও সামান্য খাল আবার কোন অংশ হেঁটে পার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারণে এই সীমান্ত এলাকা দিয়েই হঠাৎ বেড়ে গেছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের সহায়তা করছে স্থানীয় দালাল চক্র। গত শুক্রবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে বাধা দেয়ায় দালাল চক্র বিজিবি’র ওপর গুলিবর্ষণ করে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বলছেন, বিদেশী এনজিও’র কার্যক্রম মনিটরিং ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ হবেনা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিদেশি এনজিও সংস্থার কার্যক্রম মনিটরিং করে তাদের গতিবিধি লক্ষ রেখে এ সমস্ত দালাল চক্ররা সীমান্তের ওপার থেকে এপারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে, তাদেরকে যদি কঠোরভাবে দমন করা না হয় তাহলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না।’

তবে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার বলছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছেন তারা।

বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর এর কমান্ডার কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বর্ডারে যেন কোন প্রকার অনুপ্রবেশ না হয় সেজন্য প্রত্যেকটা বর্ডারে চেকপোস্ট অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’

বিজিবি জানায়, ২০১৪ সালে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ৫ হাজার ৫শ’ ২১ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হয়। তবে চলতি বছরের গত দু’মাসে ফেরত পাঠানো হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top