সকল মেনু

যশোরে কাঁচামাল সংকটে ধুঁকছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল

jess-juteযশোর প্রতিনিধি : টাকার অভাবে প্রধান কাঁচামাল পাট কিনতে না পারায় বন্ধ হতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যশোর জুট ইন্ডাট্রিজ।  এরই মধ্যে উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।  দ্রুত পাট ক্রয় করা না গেলে মিলটি বন্ধের আশঙ্কা করছে মিল কর্তৃপক্ষ।  এতে বেকার হয়ে যাবে মিলে কর্মরত দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক-কর্মচারি।

যশোরের অভয়নগরের রাজঘাটে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যশোর জুট ইন্ডাট্রিজ। ।মিলটির উৎপাদন সচল রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ৩০ মেট্রিক টন পাটের।  এ হিসেবে বছরে ৯ হাজার ৫শ’ ৮০ মেট্রিক টন পাট কিনতে হয় মিল কর্তৃপক্ষকে।  কিন্তু ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিজেএমসি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় ওই পরিমাণ পাট কেনা সম্ভব হয়নি।  মজুদকৃত পাটে বড় জোর ১৫ থেকে ২০ দিন মিল চালু রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।

যশোর জুট ইন্ডাট্রিজের বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বর্তমানে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকার কারণে পাট কিনতে পারছি না, সেই কারণে আমরা টার্গেট উৎপাদন দিতে পারছি না। ‘

আর যশোর জুট ইন্ডাট্রিজের ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘৪০ কোটি টাকার বিপরীতে মাত্র সাড়ে ৭ কোটি টাকার পাট ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে, যার কারণে মিলের উৎপাদন এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। ‘

মিলের শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে প্রতি মাসে লাগে প্রায় ৩ কোটি টাকা।  এ অবস্থায় উৎপাদন বন্ধ হলে শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানালেন হিসাব বিভাগের প্রধান ফজলুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘যদি যোগান না দেয়া যায় তবে কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে যায়। ‘

তবে কর্মচারিরা বলছেন এরই মধ্যে তাদের বেশ কিছু পাওনা বকেয়া রয়েছে।  শ্রমিক নেতারা জানালেন, যথাযথ সরকারি নজরদারির অভাবে ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিলটি ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুনছে।

মলিটরি প্রতি মাসে উৎপাদন ক্ষমতা ৯শ’ মেট্রিক টন। তবে বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা ৪শ’ ২০ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top