সকল মেনু

‘মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে গণভোট করেন’

48146নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের জনগণ মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় কি না তা জানতে একটি গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

এ সময় নিজের বক্তব্যে রফিক-উল হক বলেন, ‘এ পক্ষ বলছে, ও পক্ষ বলছে, একটা মিডটার্ম ইলেকশন (মধ্যবর্তী নির্বাচন) দেওয়া দরকার। আর এই সরকারের যারা চ্যালা আছে তারা বলছে, ২০১৯ সালের আগে ইলেকশনের স্বপ্ন দেখবেন না। আমার একটা প্রস্তাব হচ্ছে যে, মিডটার্ম ইলেকশন হবে কি হবে না, এর ওপরে একটা রেফারেন্ডাম (গণভোট) করেন। যে ইয়েস, অর নো। যদি রেফারেন্ডামে ইয়েস হয়- করবেন, যদি নো হয়- করবেন না। এই নিয়ে তর্ক করে ১৯ পর্যন্ত বসে থাকতে হবে আর আমাদের এইভাবে প্রত্যেকদিন আমরা একে অপরকে ক্রিটিসাইজ করব, এটা মানায় না।’

সমাবেশের প্রধান অতিথি বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জাতীয় সংকট নিরসনে আগামী ছয় মাসের মধ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ভোটের অধিকার…আমি যেটা সমর্থন করি প্রেসিডেন্টর অধীনে একটি জাতীয় সরকার সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রথম কথা হলো, যে সরকারটা গঠিত হবে, এটাকে গণতান্ত্রিক করতে হলে আপনাকে সংসদ সদস্যদের নিয়ে করতে হবে। যেহেতু বিগত নির্বাচন ভ্যালিড নয়, আইনের চোখে, আমাদের চোখে। সেহেতু তার আগের নির্বাচনে যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাদের নিয়ে এই সরকার গঠিত করতে হবে। ওই যে নিরপেক্ষ জাতীয় সরকার হবে সেই সরকার একটি নির্বাচন কমিশন তৈরি করবে এবং সেটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হতে হবে সবার কাছে।…এই নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিতে হবে।’

কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয় মন্তব্য করে বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরো বলেন, ‘এই কথাটা আজ যারা ক্ষমতাসীন এবং ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের উভয় পক্ষকেই বুঝতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top