সকল মেনু

জিংক সমৃদ্ধ ব্রী ধান ৬২ ও ৬৪ এর কৃষক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত

MUKUL PIC..যশোর প্রতিনিধি : কৃষিজাত ফসলে অধিক ফলনের পূর্বশর্ত হলো মানসন্মত বীজ ও আধুনিক টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার। তবেই দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ, জাতি হবে সমৃদ্ধ। এ ক্ষেত্রে কৃষি সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল সকালে জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী’র ট্রেনিং রুমে অনুষ্ঠিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রী ধান-৬২ ও ৬৪ উৎপাদনকারী চাষীদের এক প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ট্রেনিং অফিসার আব্দুর রউফ একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি দৈনিক কল্যাণের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ কৃষক আব্দুল ওয়াহাব মুকুল বলেছেন, মানব দেহের জন্য জিংক চাহিদা পুরনের পাশাপাশি প্রেটিন সমৃদ্ধ ব্রী ধান-৬২ ও ৬৪ এর চাষাবাদ যশোর অঞ্চলে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে। এ ক্ষেত্রে হারভেস্ট প্লাস, মাঝারী ও ক্ষুদ্র বীজ উৎপাদনকারী সমিতিকে সাথে নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলেছে তা শুধু প্রশংসার দাবী রাখেনা। তারা বিশ্বে প্রথম উৎপাদিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রী ধান-৬২ ও ৬৪ উৎপাদনে যশোর অঞ্চলে বিপ্লব ঘটতে চলেছে।
প্রশিক্ষন গ্রহনকারীদেরকে ক্ষতিকারক পোকামাকড় আক্রমনের বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা প্রদান ও প্রতিকারের নিয়ে আলোচনা করেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক  অনুজ কুমার বিশ্বাস।  ব্রী ধান-৬২ ও ৬৪ উৎপাদন কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন মেহেরপুর জেলা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সীর জেলা অফিসার আকতারুজ্জামান।
মানসন্মত বীজ উৎপাদন, সংরক্ষন ও বিপনন ব্যবস্থা কৃষকবান্ধব করতে অংশগ্রহনকারীদেরকে তথ্যগত প্রশিক্ষন দেন যশোর জেলা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সীর জেলা অফিসার পরেশ কুমার রায়। জিংক সমৃদ্ধ  ব্রী ধান-৬২ ও ৬৪ চাষের গুরুত্ব, বৈশিষ্ঠ ও পরিচর্যা সম্পর্কে কৃষকদের ধারনাকে আরও আধুনিকায়ণ করতে প্রশিক্ষন দেন হারভেস্ট প্লাস যশোর অঞ্চলের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মজিবর রহমান।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষিবিদ উত্তম কুমার মজুমদার। কর্মশালায় ২৫ জন জিংক সমৃদ্ধ ব্রী ধান-৬৪ ও ৬২ উৎপাদনকারী চাষী অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top