সকল মেনু

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 ইকবাল হোসেন, রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাদি হয়ে এ মামলা করেন। এদিকে অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চ ভাংচুর ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতার এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এনিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীর অপসারনের দাবিতে গত একমাস ধরে অনশন চালিয়ে আসছে শিক্ষকরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। নতুন বছরের ভর্তি হতে ইচ্ছুক এক লাখ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও আন্দোলনের কারণে  ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না করায় তারা রয়েছেন বিপাকে। এসব অচলাবস্থা নিরসনে মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসি নশনকারিদের কাছে গিয়ে তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহবান জানায়। এনিয়ে শিক্ষক ও এলাকাবাসির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়  হয়। এসময় উত্তেজিত এলাকাবাসি অনশনকারিদের মঞ্চ ভেঙ্গে দেয় এবং কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করে। এ খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে দুস্কৃতিকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহবান জানালে শিক্ষার্থীরা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা, গাড়ি ভাংচুর, রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ এনে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মালায় আসামী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। তবে মামলায় কারো নাম উলে¬খ্য করা হয়নি।  এ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর হামলা ও মঞ্চ ভাংচুরের প্রতিবাদে বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে।  এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান সেলিম, সাধারন সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, কর্মকর্তা শামসুল হক প্রমুখ। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা, হামলা, গাড়ি ভংচুর ও সড়ক অবরোধের কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ অঞ্জাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি আরো জানান ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল কদের জিলানী জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top