আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের তিকরিত আইএসের দখল মুক্ত করতে ত্রিমুখী অভিযানে নেমেছে দেশটির সরকারি বাহিনী। এদিকে জিম্মি ১৯ জন সিরীয় খ্রিস্টানকে মুক্তি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট। আইএসে যোগ দিতে তুরস্কে যাওয়া ৩ ব্রিটিশ তরুণী তুরস্ক সীমান্ত হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে গণমাধ্যম।
মর্টার, বোমা আর গুলির শব্দে রোববার রাতে ইরকের সালাদিন প্রদেশের রাজধানী তিকরিতের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। আইএস হটাতে রাতভর চলে ইরাকি বাহিনীর ত্রিমুখী অভিযান।
একযোগে ২৭ হাজার ইরাকি সেনা ও দুই হাজার শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধার এই অভিযান রোববার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, সামারাহ্ এলাকা থেকে এই অভিযান সরাসরি পরিচালনা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি।
এই স্থল অভিযানে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা করতে তিকরিতে বিমান হামলা চালাতে প্রস্তুত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। এমন তথ্য জানিয়েয়েছে বিবিসি।
ইরাকে এমন অবস্থার মধ্যেই সিরিয়ায় জিম্মি তিন নারী সহ ১৯ জন সিরীয় খ্রিস্টানকে মুক্তি দিয়েছে আইএস। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এলাকার একটি গ্রাম থেকে এদের অপহরণ করে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। জিম্মিদের মুক্তি দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে তাদের স্বজনেরা।
একজন বলেন,’আইএসের হাতে এখনো আমাদের বহু স্বজন জিম্মি হয়ে আছে। আমরা আর কাউকে হারাতে চাইনা। জাতী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মানুষ। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এ বিষয়টি দেখার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
এদিকে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়া ৩ ব্রিটিশ তরুণী তুরস্ক সীমান্ত হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে গণমাধ্যম। সিসিটিভির ফুটেজে তাদের ইস্তাম্বুলের একটি বাস স্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল থেকে বাসে চড়ে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছে তারা। সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকা এখন ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের দখলে রয়েছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যম।
সিরিয়ার আলেপ্পোতেও সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে আলেপ্পোর অজ্ঞাত স্থান থেকে সরকারি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মর্টার হামলার ভিডিও প্রকাশ করে বিদ্রোহীরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।