সকল মেনু

তিস্তায় চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

Piazমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  : নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও দামে লাভবান হচ্ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। এই অঞ্চলে বরাবরেই বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ বাজারে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্ত টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে তার ব্যতিক্রম হয়েছে। পরিবহন সংকটে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে তরকারির প্রয়োজনীয় এই উপকরণের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এ সংকট তিস্তার জেগে উঠা চরে পেঁয়াজ বাজারের অনেকটা চাহিদা মেটাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবছর চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে  পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। চরগুলো হচ্ছে চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, উত্তর খড়িবাড়ি, দক্ষিণ খড়িবাড়ি, ভাষানী চর, কিসামতের চর, কালীগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর চর, ছোটখাতা, বাইসপুকুর, পূর্ব বাইসপুকুর, পশ্চিম বাইসপুকুর, সতিঘাট বাইসপুকুর, ভেন্ডাবাড়ি, ছাতুনামার চর। ছাতুনামা চরের বাসিন্দা মজিবর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে  পেঁয়াজ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ কাঠা জমির ২০ মন পেঁয়াজ প্রতিমন ২ হাজার টাকায় ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। দোহলপাড়া চরের সামসুল হক জানান, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে ভাল জাতের  পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বাজারে ভাল দাম পাবেন এমনটি আশা করছেন। চরের কৃষকরা জানান, পেঁয়াজ চাষে জৈব সারের গুরুত্ব বেশি এবং রাসায়নিক সারের দরকার হয়না। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষাবাদের জমি উপযুক্ত হালচাষ করে তুলতুলে নরম করতে হয় ও পেঁয়াজ পরিচর্যাং প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। এবছর ঘনকুয়াশা থাকার পরেও তিস্তার জেগে উঠা চরের জমিতে পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষিণ অফিসার কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের ফলন ও দামে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top