নিজস্ব প্রতিবেদক : চরম মন্দা যাচ্ছে রাজধানীর স্বর্ণের বাজার। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেচা-বিক্রি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। চলমান হরতাল-অবরোধের কারণেই স্বর্ণের দাম গত ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন থাকলেও এর সুফল মিলছে না বলেই মনে করছেন তারা।
তাছাড়া, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ের মতো উৎসব কম আয়োজন হওয়ায় ক্রেতারা আসছেন না স্বর্ণের বাজারে।
বাইতুল মোকাররমের গোল্ড মার্কেটে ক্রেতা না থাকায় এখানকার প্রায় সব স্বর্ণের দোকানিই অলস সময় পার করছেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বনিবাট্টা হয়না অনেক দোকানে। চলমান হরতাল-অবরোধের মধ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই ক্রেতা আসছেন না বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, ঝুঁকি নিয়েই আমরা দোকান খুলছি। কিন্তু এই অবস্থায় কোন ক্রেতা মিলছে না।
এই সময়টাকে বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মৌসুম হিসেবে ধরে থাকেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাই নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই চার মাসে বেচা-বিক্রি সবচেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু এই বছরের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।
জানুয়ারিতে ভরিতে দেড় হাজার টাকা বাড়লেও গেল দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে স্বর্ণের দাম। কিন্তু স্বর্ণের নিম্নমুখী দামও ক্রেতা আকর্ষণে বিফল হয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অন্যান্য ব্যবসার মতই দেশের স্বর্ণ ব্যবসাও চরম ক্ষতির সম্মুখীন উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি জানান বেচা-বিক্রি না থাকায় এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দোকান।
বাজুস সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কিছু বড় দোকান আছে যারা এখনো মোটামুটি বিক্রি করছে। কিন্তু ছোট ছোট দোকানের অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।’
বিলাস দ্রব্য হিসেবে স্বর্ণের বিক্রি নির্ভর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর। তাই বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোন ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না স্বর্ণ ব্যবসা, এমনটাই মনে করেন এই ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।