সকল মেনু

পোশাক শিল্প: ২ বছরে বন্ধ হয়েছে ৫’শর বেশি কারখানা

পোশাকনিজস্ব প্রতিবেদক : অনিরাপদ কর্মপরিবেশ আর বিদেশি ক্রেতা-গোষ্ঠীর সহযোগিতার অভাবে গত প্রায় ২ বছরে তৈরি পোশাক শিল্পে বন্ধ হয়েছে ৫শ’র বেশি কারখানা। শুধু তাই নয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা হারিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ। অন্যদিকে, কাজ না পেয়ে অনেক দক্ষ শ্রমিকই বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। আর বিশ্ববাজার ধরে রাখার পাশাপাশি বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধে ‘নিরাপদ প্রস্থান আইনে’র দাবি তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র।

রানা প্লাজা ধসের পর, নিরাপদ কর্ম পরিবেশের অভাব ও ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের প্রধান রপ্তানিখাত, পোশাক শিল্পে শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। যার নেতিবাচক প্রভাবে অর্ডার কমায়, অনেক পোশাক কারখানাই তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। গেল প্রায় দুই বছরে বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত ২৮০টি সহ বন্ধ কারখানার সংখ্যা ৫শ’র বেশি। এর ফলে বেকার প্রায় ২ লাখ শ্রমিকের অনেকেই সময় মতো কাজ না পেয়ে চলে গেছেন অন্য পেশায়।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ‘প্রচুর শ্রমিক বেকার হয়েছে। পর্যায় ক্রমে অবশ্য নারী শ্রমিকদের কিছুটা হলেও কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে পুরুষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে একটু বৈষম্য হয়েছে।’

মুক্তি সংগ্রাম গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, ‘কিছু কিছু ছেলেরা কাঁচা তরকারি ব্যবসা করে। কেউ কেউ নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন পেশায় চলে গেছে।’

তবে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দিলেও কারখানা বন্ধের কারণ হিসেবে তাদের অসহযোগিতাকে বড় করে দেখছেন গার্মেন্টস শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

লাইফস্টাইল ফ্যাশনস মেকার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. শামসুল আলম খান বলেন, ‘বন্ধ গার্মেন্টকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বায়ারের পক্ষ থেকে বা বিদেশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা দেয়ার কথা ততটুকু সহযোগিতা তারা দিচ্ছে না।’

এদিকে, প্রতিযোগিতার বাজার ধরে রাখতে, কারখানা বন্ধের নেতিবাচক প্রভাব ও শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবেলায় ‘নিরাপদ প্রস্থান আইন’র দাবি বিজিএমইএ’র।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শাহিদুল্লাহ আজিম বলেন, কাজ যদি না থাকে তাহলে তিন মাস পর দেখবেন আবার কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। একটা আইন করা উচিত যে কারখানা চালাতে পারবে না তার সম্পত্তি যা আছে ব্যাংকে বুঝিয়ে দেবে ব্যাংকই বুঝে নেবে দেনা পাওনা যা আছে।’

অন্যদিকে, গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান বাধা হরতাল-অবরোধের টানা কর্মসূচি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আরও কারখানা বন্ধ হওয়াসহ চলতি বছর রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন এ শিল্পের সাথে জড়িতরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top