সকল মেনু

হরতাল-অবরোধে কুড়িগ্রামের পোলট্রিতে ধস; শ্রমিকরা বেকার

পোলট্রিকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : টানা হরতাল-অবরোধে কুড়িগ্রামের পোলট্রি শিল্পে ধস নেমেছে। পরিবহণ সংকটের কারণে বাচ্চা আনা এবং জেলার বাইরে ডিম ও মুরগী বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছেনা। এতে কমে গেছে মুরগীর দাম।

জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির দাবি, লোকসানে পরে জেলার অর্ধেকেরও বেশি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, কোন সমস্যা নেই।

জেলায় ব্রয়লার জাতের একদিনের বাচ্চা এনে এক মাস পর্যন্ত রেখে বড় করার পর বিক্রি এবং লেয়ার জাতের ডিম পাড়া মুরগি এবং প্যারেন্ট স্টক মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর খামার রয়েছে। পরিবহন সংকটের কারণে এখন জেলার বাইরে থেকে একদিনের বাচ্চা আনা যাচ্ছেনা।

পাশাপাশি ডিম এবং এক মাস বয়সী মুরগিগুলো জেলার বাইরে বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে কমে গেছে মুরগির দাম। খাদ্য পরিবহণেও সমস্যা হচ্ছে। ফলে লোকসানে পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামারগুলো।

পোলট্রি মালিক ও ম্যানজোররা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে পরিবহন সংকটের ফলে বাচ্চা আনা ও বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে লোকসান গুণতে হচ্ছে।

খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

শ্রমিকরা জানান, খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক কাজহীন হয়ে পড়েছেন।

টানা অবরোধ-হরতালের কারণে অর্ধেকের বেশি খামার বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির এ কর্মকর্তা।

জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী লিটু বলেন, ‘টানা হরতাল-অবরোধে প্রায় ৫০ শতাংশ ফার্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে।’

তবে ভিন্ন কথা বলছেন, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা। তার দাবি, কোন সমস্যা নেই।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আঃ ছামাদ মিয়া বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোন খামারি লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেননি।’

প্রাণিসম্পদ বিভাগে নিবন্ধনকৃত ৬’শ ৫৭টিসহ জেলায় ছোট বড় ১ হাজার ৪’শটির মতো পোলট্রি খামার রয়েছে। এর মধ্যে ৮’শর মতো বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top