সকল মেনু

টানা অবরোধে হুমকির মুখে গার্মেন্টস শিল্প

Garmentsনিজ্স্ব প্রতিবেদক : টানা অবরোধের মুখে সময় মতো পণ্যের শিপমেন্ট করতে না পারায় আন্তর্জাতিকভাবে আবারো ইমেজ সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশের পোশাক শিল্পখাত। এ অবস্থায় সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দাবি করছে বিদেশী ক্রেতারা। সে সাথে থাকছে অধিক খরচের বিমানযোগে পণ্য পাঠানোর দাবি। এ অবস্থায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি গার্মেন্টস মালিকদের।

সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না দেশের গার্মেন্টস শিল্পের। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরণের ভূমিকা রাখা এ খাতটি একের পর এক সঙ্কটের মুখে পড়ছে। ঢাকায় রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর আন্তর্জাতিকভাবে ভয়াবহ ইমেজ সঙ্কটের কবলে পড়েছিলো গার্মেন্টস মালিকেরা। তার সাথে যুক্ত হয় একোর্ডা অ্যালায়েন্স সঙ্কট। বড় দু’টি সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এখন যুক্ত হয়েছে ২০ দলের টানা অবরোধ কর্মসূচি।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ বিদেশী ক্রেতারা আবার চিন্তা-ভাবনায় পড়েছেন বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টরে অর্ডার দেবে কিনা। তাদের শিপমেন্টগুলোর আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারবো কিনা।’

দেশে প্রস্তুতকৃত গার্মেন্টস পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু অবরোধের কারণে সময় মতো শিপমেন্ট করা যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় পণ্য পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বায়াররা বিশেষ ডিসকাউন্ট চেয়েছে বলে দাবি গার্মেন্টস মালিকদের।

বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘১০ থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট এখন জরুরিভাবে করতে হচ্ছে। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এবং আমাদের ইমেজ সঙ্কট আবার প্রকট আকার ধারণ করছে। যেকারণে ভবিষ্যতের বুকিংগুলো নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেছি।’

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লাভ করি। সেখানে যদি ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিতে হয় তাহলে তো লোকসানের মুখে পড়তে হবে আমাদের।’

তবে শিল্প পুলিশের দাবি, বায়ারদের নিরাপত্তায় তাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিল্পাঞ্চল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তোফায়েল আহমেদ মিয়া বলেন, ‘বিদেশী ক্রেতাদের এয়ারপোর্ট থেকে ইন্ডাস্ট্রি পর্যন্ত এবং ইন্ডাস্ট্রি থেকে হোটেল পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। আমরা এই কারণে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি তারা যেন বুঝতে না পারে এখানে কোনো সমস্যা আছে।’

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছোট-বড় ৯০০টি গার্মেন্টস কারখানা থাকলেও বর্তমানে ৬৭০টি গার্মেন্টস পুরো দমে পণ্য উৎপাদনে রয়েছে। আর এসব গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৬ লাখ শ্রমিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top