সকল মেনু

তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ

হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতাদের কুলাঙ্গার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুলাঙ্গারদের নেত্রী বলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে দায়ের করা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফ হোসেন এ আদেশ দেন। পল্টন থানার ওসিকে (তদন্ত) এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দ্বিতীয় বারের মত বাড়ানো হলো।  এর আগে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।

উল্লেখ, আওয়ামী লীগ নেতাদের কুলাঙ্গার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কুলাঙ্গারদের নেত্রী বলায় বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উল্লাহর আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ বলে বক্তব্য দিয়েছেন। যা গত ২৬ আগস্ট দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন’ বলে দাবি করেন। যা বাদীর অভিযোগ মতে মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই বক্তব্য বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। একই দিনে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকারকরা তেলবাজ’ শিরোনামে তারেক রহমানের আরো একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এছাড়াও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর মানহানি হয়েছে বলে দাবী করেন বাদী। এছাড়া ‘খন্দকারের কথায় আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠের ৩ নং পাতায় এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়। যা বাদীর মতে মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বাদী তার দলীয় অফিসে ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর এই সংবাদগুলো পড়ে বিস্মিত ও হতবাক হন।

এছাড়াও বাদী অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। যার ফলে বাদীর মতে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। এজন্য বাদী দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারার অপরাধে এই মামলাটি দায়ের করেন। বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিচার করার জন্য বিচারকের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top