সকল মেনু

বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে

 রেজাউল ইসলাম,  চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে : চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট দেখাল বাংলাদেশ। সফরকারী জিম্বাবুয়েকে টেস্টের তিন দিনই বেশ ভালোভাবে শাসন করছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের করা ৫০৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩৭৪। ১২৯ রানের লিড স্বাগতিকদের। তৃতীয় দিনে ৯ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ২৩ রান যোগ করে। এখন লিড ১৫২ রানের। তামিম ৮ ও ইমরুল ১১ রানে অপরাজিত আছেন।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলার লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট। প্রথম বাংলাদেশি লেগ স্পিনার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন জুবায়ের।

স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে।  শুক্রবার প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভালোই চাপে রাখেন দ্বিতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান  সিকান্দার রাজা ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। দুজনই ৮০-এর ঘরে পৌঁছান। শতকের পথে এগুতে থাকের দুই ব্যাটসম্যানই। এর পরেই বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ে শিবিরে দিনের প্রথম আঘাত করেন পেসার শফিউল। দলীয় ১৬৯ রানে উইকেট হারান হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ১৫১ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮১ রান করে শফিউলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। খুলনা টেস্টে শতকের দেখা পাওয়া মাসাকাদজা এই ম্যাচেও শতকের পথে হাঁটছিলেন। কিন্তু শফিউলের নিখুঁত ডেলিভারিতে পরাস্ত হন তিনি।

৯ রানে ব্রায়ান চারির উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন সিকান্দার রাজা ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। মাসাকাদজা আউট হওয়ার আগে ১৬০ রান যোগ করেন তারা। এটি জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

মাসাকাদজার বিদায়ের পর অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ব্যাটিংয়ে নামেন। কিন্তু তরুণ তুর্কী জুবায়ের হোসেন লিখনের ঘূর্ণিতে বধ হন টেলর। মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের অসারধারণ ক্যাচে পরিণত হন জিম্বাবুয়ের দলপতি।

এক বলের ব্যবধানে আবারো জুবায়েরের যাদু। এবার বধ সিকান্দার রাজা। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের পথে এগুতে থাকা সিকান্দার রাজাকে ৮২ রানে আউট করেন জুবায়ের। এই লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ক্যাচটি লুফে নেন মাহমুদুল্লাহ। ২১ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে টেনে তোলেন চাকাবা ও আরভিন।  ৩৭ রান যোগ করেন তারা। বিপদজনক হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার জুবায়ের।

বাঁহাতি আরভিনকে বোল্ড করেন তিনি। আরভিনের বিদায়ের পর চিগুম্বুরা ও চাকাবা ১১৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ষষ্ঠ জুটি ভাঙেন পেসার শফিউল। ১৩৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৫ রান করেন চাকাভা। এরপর সাকিব আল হাসান মুতুমাম্বিকে ফিরিয়ে সফরকারীদের শিবিরে আবার আঘাত করেন। সাকিবের পর তাইজুল সিঙ্গি মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে ইনিংসের প্রথম উইকেট নেন। এরপর জিম্বাবুয়ের শেষ দুটি উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করেন জুবায়ের হোসেন। লিখন সাজঘরে ফেরত পাঠান চিগাম্বুরা (৮৮) ও নিতসাই মুসাঙ্গুয়েকে (৮)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top