সকল মেনু

২০৩০ সালের মধ্যে গমের উৎপাদন কমবে ৩২ শতাংশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গমের উৎপাদন ৩২ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পিকেএসএফয়ের ২৫ বছর পদার্পণ উপলক্ষে ‘অ্যাগরিকালচার প্যার্টান্টস, প্রোভার্টি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ : ভিশন, স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন’ শীর্ষক সেমিনারে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর ফলে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। জলবায়ু পরিবর্তনে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গমের উৎপাদন কমবে ৩২ শতাংশ, ধানের উৎপাদন কমবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়াও ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন কমবে ৫ শতাংশ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর প্রকল্প সমন্বয়কারী ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমদ। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সাইক্লোনের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে সমুদ্র পাশের জেলেদের মাছ ধরতে সমস্যা হচ্ছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পৃথিবীতে  যে কোন ইস্যু ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে ছিল বিশ্বায়ন। আর এখন জলবায়ু পরিবর্তন প্রধান ফ্যাশন। এক্ষেত্রে অর্থায়নে দুর্নীতি ও অবচয় রয়েছে। তা দূর করা প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা নেই। তাই এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। আর দারিদ্র্যের অন্যতম কারণও এই জলবায়ু পরিবর্তন। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা দায়ী না। তাই আমাদের দায়িত্ব কম। তবে আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে আমাদের আরো বেশি ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’

সেমিনারে পিকেএসএফয়ের সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পিআরডিআইয়ের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top