সকল মেনু

১৭ বছর ধরে সমাজচ্যুত ঘর পোড়ার মামলা করায়

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজ২৪বিডি.কম,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার খতিবের হাটের রহমত আলী মুন্সির বাড়ি এলাকায় ঘর পোড়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করায় ১৭ বছর ধরে একটি পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী রোজিয়া বেগম জানান, জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৭ সালে তার ঘরে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনার পর সমাজের গণমান্য ব্যক্তিরা তাকে মামলা দায়ের করতে বলেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর এসব ব্যক্তিরাই আবার তাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন।  মামলা প্রত্যাহার না করায় তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। “সমাজের কারো আমাদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ।  এলাকার কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয় না। কি করে যে এক একটি দিন পার করছি সে আমরা জানি।” রোজিয়া বেগম বলেন, ঘরপোড়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্তদের ছয় বছর করে আদালত সাজা দিয়েছিলেন।  কারাগার থেকে বের হয়ে আসামীরা আমাদের দিনরাত জায়গা জমি নিয়ে হয়রানি করেছে। “হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পরও আমরা নিজেদের ঘরে পর্যন্ত থাকতে পারছি না।  জীর্ণ ঘর সংস্কার করতে গেলেও সমাজের কর্তাদের সহয়তায় একটি চক্র তেড়ে আসে। আমাদের উপর অসংখ্যবার হামলা-নির্যাতন করা হয়েছে।   অথচ, পুলিশের কাছে গিয়েও সহায়তা পাচ্ছি না, হয়রানির শিকার হচ্ছি।” রোজিয়া বেগমের মেয়ে মেহেরুন্নেসা রাণী অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন জায়গার দাবি থেকে সরে এসে অব্যাহত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এরই অংশ গত ১০ অক্টোবর আব্দুল মান্নান, আব্দুল মাবুদ, আব্দুল শুক্কুর, আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার মাকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করি।  এ মামলার পর থেকেই সমাজের কর্তব্যক্তিরা আবার আমাদেরকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। আসামীরা হুমকি অব্যাহত রাখলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এসময়, নিজের অসহায় পরিবারকে বাঁচাতে মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আকুতি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের নিকটাত্মীয় ফয়েজ বিন হাকিম। উপস্থিত ছিলেন রোজিয়া বেগমের ছেলে আবু আসাদুল খসরু, মেহেরুন্নিসা রণি প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top