সকল মেনু

যখন তখন কর্মসূচি ঠিক হবে না

 মেহেদি হাসান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন সফল করা কঠিন। তাই জনগণের  মনোভাব না বুঝে যখন তখন কর্মসূচি দেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।  সম্প্রতি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।তার বক্তব্যে আরো উঠে আসে, ফেলে আসা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রেক্ষাপট, জোটের রাজনীতি ও ভবিষ্যত এবং সমসাময়িক রাজনীতির নানা দিক। জোট নেতাদের নিয়ে বসে আন্দোলনের ছক তৈরি করতে হবে বলে অভিমত দিয়ে ডা. ইরান বলেন, জোট গঠনের আগে এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক ও ভোটাধিকার এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনাই জোটের অন্যতম লক্ষ্য। তাছাড়া ভূ-লুণ্ঠিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার পুন:প্রতিষ্ঠান জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতি গিয়ে ডা. ইরান বলেন, ২০ দলীয় জোটে দলীয়ভাবে সমন্বয়ের অভাবেই আন্দোলনের কাক্ষিত ফল অর্জান সম্ভব হয়নি। আগামীতে আন্দোলন সফল করতে হলে আমাদেরকে আরো প্রস্তুত হতে হবে, জনগণকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ নক্ষত্রের মতোই উজ্জ্বল বলেই বিশ্বাস করেন তিনি। তবে একইসঙ্গে জোটকে আরো কার্যকর ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে জোট প্রধানকে আরো উদ্যোগী ও দায়িত্বশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন এই রাজনীতিক। তবে ডা. ইরান এও বলেন, জোট প্রধান হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন যে ভূমিকা পালন করছেন তাতে জোটের সবাই সন্তুষ্ট। জোটের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রত্যাশা পূরণে আমরা জনগণের কাছে গেছি, দু:শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করছে, মানছে না। জনগণ এসবের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। এবং শেষ পর্যন্ত জনগণই জয়লাভ করবে।জোটের ভাঙন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটে কোনো ভাঙন ধরেনি। নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কয়েকজনকে জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যারা সামান্য লোভে জোট ত্যাগ করে তারা আসলে আদর্শচ্যুত। এরা সরকারের সঙ্গে মিশে জোটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বলেই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডা. ইরান বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ, তখনই আমরা বুঝেছিলাম, একটি সাজানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ১৯৮৭ সালে ছাত্র মৈত্রী দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। ১৯৯৭ সালে এনডিএ-এর সভাপতি হন তিনি। পরে ২০০০ সালে বাংলাদেশ লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ২০০৫ সালে দলটির মহাসচিব হন ডা. ইরান। ২০০৯ সালে হন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান। রাজনীতি করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৩ বার কারাবরণ করেছেন তরুণ এই রাজনীতিবিদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top