সকল মেনু

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়ে নোবেল

  ডেস্ক রিপোর্ট : মাইক্রোসকোপ অর্থাৎ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটানোর স্বীকৃতি হিসেবে এবার রসায়নে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির তিন বিজ্ঞানী।  বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স রসায়নে ২০১৪ সালের নোবেল বিজয়ী হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে। এরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের এরিক বেটজিগ ও উইলিয়াম মোয়েনার এবং জার্মানির স্তেফান হেল।  নোবেল কমিটি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে বলেন, এই তিন গবেষক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটানোর ফলেই পদার্থের আণবিক রসায়ন সম্পর্কে গবেষণা সম্ভব হয়েছে। নোবেল কমিটির প্রধান এবং লুন্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক সিফেন লিডিন বলেন, নোবেল বিজয়ীদের এই কাজের ফলে মলিকিউলার প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে, তা সরাসরি দেখা যাবে।

লাইট মাইক্রোস্কোপ বা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ নিয়ে বহুদিন ধরেই এমন ধারণা ছিল যে এতে কখনোই আলোকরশ্মির দৈর্ঘ্যের অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভালো রেজ্যুলুশন পাওয়া যাবে না। ১৮৭৩ সালে অণুবীক্ষণবিদ আর্নেস্ট অ্যাবে জানিয়েছিলেন, প্রচলিত অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপির অতি তড়িৎ-চম্বুকীয় তরঙ্গদৈর্ঘ্য ০ দশমিক ২ মাইক্রোমিটারের বেশি রেজ্যুলুশন হবে না।

কিন্তু এই তিন বিজ্ঞানী ফ্লোরোসেন্ট মলিকিউল ব্যবহার করে এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন। তারা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপিকে ন্যানোকপিতে পরিণত করেন।

ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে কোষ অভ্যন্তরের ক্রিয়া-বিক্রিয়াগুলো দেখতে পারবেন। তাদের কাজের ফলে বিজ্ঞানীরা এখন জীবন্ত প্রাণিকোষের প্রতিটি অণু পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

বিজ্ঞানী এরিক বেটজিগ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের অ্যাশবার্নে হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের জ্যানেলিয়া ফার্ম রিসার্চ ক্যাম্পাসে কাজ করছেন। আরেক মার্কিন নাগরিক উইলিয়াম ই মোয়েনার। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গবেষক হিসেবে গবেষণা করছেন।

স্টেফান ডব্লিউ হেল জার্মানির গুইটিনগেনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি এবং হাইডেলবার্গের জার্মান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে গবেষণারত।

আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী তিনজনের হাতে নোবেল পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তুলে দেওয়া হবে।

গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ছয়টি শাখায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। শাখাগুলো হলো- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি।

সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top