সকল মেনু

ঈদে দুই লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট ওয়ালটনের

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:  ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইলস ও হোম এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য সামগ্রি উৎপাদন এবং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।  অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি এবারের ঈদে দুই লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ঈদুল আযহাতে সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়। ফ্রিজের প্রধান মৌসুম এটি। এরইমধ্যে ফ্রিজের বাজারের সিংহভাগ নিজেদের করে নিয়েছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাই ফ্রিজ-টিভি নিয়ে তাদের ব্যস্ততাই সবচেয়ে বেশি। জানা গেছে, সমসাময়িক বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ও মান বজায় রেখে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে এদেশের আবহাওয়া উপযোগি করে প্রস্তুত হচ্ছে এই ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজের রঙ ও ডিজাইনে উঠে এসেছে দেশের কৃষ্টি-কালচার এবং নানা ঐতিহ্য। সারাদেশে বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক দিচ্ছে সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার জানান, ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বড় গুন এর সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমান। এবার ঈদে বাজারে থাকছে ওয়ালটনের ১০০ মডেল- রঙ ও ডিজাইনের ফ্রিজ।  তিনি বলেন, একটি ফ্রিজ শুধু দৈনন্দিন গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটায় না; গৃহের সৌন্দর্য বর্ধনেও ভূমিকা রাখে। বিরক্তিকর একঘেঁয়ে রঙ ও মডেলের পরিবর্তে বৈচিত্রময় ডিজাইন নিয়ে এসেছে ওয়ালটন। তিনি আরো বলেন, কোরবানি ঈদে ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেশি। বিষয়টি মাথায় রেখে ডিপ ফ্রিজের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, চলতি বছরের শেষের দিকে ওয়ালটন নতুন আরেকটি ফ্রিজ কারখানা চালু করতে যাচ্ছে। যেখানে বছরে প্রায় ৮ লাখ অতি উচ্চমানের ননফ্রস্ট ফ্রিজ তৈরি হবে। যেখানে দুটি আলাদা প্রোডাকশন লাইনে নতুন ১৯টি মডেলের নন ফ্রস্ট ফ্রিজ তৈরি হবে। প্রধানত আন্তর্জাতিক বাজারকে টার্গেট করে নতুন ওই কারখানা স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি চলছে দেদারসে। তবে সামনে কোরবানির ঈদ বলে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজের কদর বেশি। আবার অনেকে অর্ধেক ডিপ, অর্ধেক সাধারণ অংশের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনছেন। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই সারাদেশে ফ্রিজের শো-রুমগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের ফ্রিজই বেশি বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, গত বারের চেয়ে এবার ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা অনেক বেশি। পণ্যের কোনো সংকট নেই। উচ্চমানের পাশপাশি দামে অনেক সাশ্রয়ী বলে ক্রেতারা ওয়ালটন ফ্রিজই কিনছেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আবাবিল ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন জানান, ঈদের বাজার ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। ফ্রিজসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির ধূম পড়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ফ্রিজ বিক্রির চাপ থাকবে বলে তার ধারণা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top