সকল মেনু

‘জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির পথ সুগম হয়েছে’

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হওয়ার আশা করছেন তাঁরা। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দুই দিনের সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং, পোশাক, চামড়া, পাট ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশকে ৪৭ হাজার কোটি টাকা সহযোগিতার আশ্বাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, তৈরি পোশাক ছাড়াও টেক্সটাইল, ডায়িং, সিরামিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, হস্তশিল্প, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও পাটজাত পণ্য এবং পর্যটন খাত নিয়ে জাপানের উদ্যেক্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দেশটির ব্যবসায়ীরা জানান, জাপান বাংলাদেশের পণ্যের বড় বাজারে পরিণত হবে।   জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ৫০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে শনিবার ঢাকায় আসেন। ওই দিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ একটি মতবিনিময় সভাও করেছেন আবে। এর আগে জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নত হওয়ার প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে কথা হয় এফবিসিসিআই‘র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তৈরি পোশাক ছাড়াও টেক্সটাইল, ডায়িং, সিরামিকস, আইটি, হস্তশিল্প, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং পর্যটন খাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই জাপান বাংলাদেশের এসব পণ্যের বড় বাজারে পরিণত হবে।’

তিনি আরো বলেন, জাপান  যমুনার তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণের আগ্রহের কথা আমাদের জানিয়েছে। রুলস অব অরিজিন সংক্রান্ত নিট পণ্যের জিএসপি সুবিধার বিষয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত  হয়নি। তবে এ বিষয়ে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়ছে।

২০১৩ সালে রপ্তানির মাধ্যমে জাপান থেকে ৭৫ কোটি ডলার রপ্তানি আয় করে বাংলাদেশ জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জাপানে রপ্তানি হওয়া মোট পণ্যের ৯০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র সাত-আটটি পণ্য। এখন চিংড়ি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য আরও বেশি রপ্তানি করার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন।

বাংলাদেশে জাপানি উদ্যোক্তাদের গ্যাস উত্তোলন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ, অবকাঠামো কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগে আরো এগিয়ে আসান আহ্বান জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে ব্যবসায়িক সর্ম্পক আরো সুগম হবে বলে মনে করছেন ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইল পণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের আর্ন্তজাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান লোকমান হোসেন আকাশ। তিনি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘ ইতিমধ্যে জাপানি ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ইলেক্ট্রনিক্স খাতের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top