সকল মেনু

তলিয়ে গেছে নাটোরে আমন খেত

  নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তিনটি উপজেলার রোপা-আমনখেত। সম্প্রতি চলনবিল ও হালতিবিলের নিচু এলাকায় কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করেন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে সেসব খেতে তলিয়ে যায়। হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। এবার রোপা-আমন চাষে কৃষকের বড় ধরণের লোকসানের শিকার হতে হবে বলে জানান কৃষকরা। এদিকে যে সব রোপণকৃত ধানের খেত তলিয়ে গেছে তার আশপাশে হুমকির মুখে রয়েছে হাজার হাজার বিঘা জমির রোপা-আমন ধানের খেত। কৃষি বিভাগ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায়, সিংড়া উপজেলার চৌগ্রামের হিয়ালবিলের মাঠ, বড়িয়া মাঠ, উত্তর চড়া, ভাংনাগরকান্দি এবং গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দাসহ দুই উপজেলার নিচু এলাকায় সম্প্রতি বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করে এই সব অঞ্চলের কৃষকরা।
রোপণের সময় চলনবিলের পানি কম থাকায় কৃষকরা এবারো বিপুল সংখ্যক জমিতে ধান রোপণ করেন।

ভাগনাগরকান্দি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কুদ্দুস উদ্দিন বলেন,

গত বছর চলনবিলে পানি কম ছিল। সে সময় কৃষকরা বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ করত। এতে ১৫ থেকে ২০ মণ হারে ধান উৎপাদন হয়তো। ধানের দাম ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিল কৃষক।

এবার সেই আশা অনেক কৃষক ধান রোপণ করেছে কিন্তু টানা বর্ষণে ধান তলিয়ে গেছে। ধানগাছের পাতায় শ্যায়লা জমে গেছে। ধান হওয়া আর সম্ভব না।

নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের কৃষক মো. শাজাহান মোল্লা ও আব্দুস সামাদ হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, গত বছর ভালো হওয়ায় এবার সে আশায় জমিতে ধান রোপন-আমন ধান রোপণ করি। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধান তলিয়ে যাওয়ায় অনেক টাকা এবার লোকশান গুনতে হবে। ধান না হলে, না খেয়ে মারা ছাড়া ছাড়া উপায় নেই। চৌগ্রামের কৃষক আবদুুল মজিদ বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা সারের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারপরও পাঁচ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করি। কিন্তু বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রহমতউল্লাহ সরকার হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, এ পর্যন্ত জেলার গুরুদাসপুরে ২১০ এবং সিংড়ায় ২৫০ ও নলডাঙ্গায় ১৫০ হেক্টর জমির রোপা-আমন খেত নিমজ্জিত হয়েছে। তবে বন্যার পানি তাড়াতাড়ি কমে গেলে কৃষকরা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top