কোর্ট রিপোর্টার: গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার নওখন্ড গ্রামের ব্যবসায়ী শিপন কাজী হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার ৩ নম্বর  দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম শাহেদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লেনিন শিকদার, মনির হোসেন (পলাতক), স্বপন মোল্লা ওরফে ডালিম (পলাতক), ওবায়দুল শেখ ওরফে ইবাদুল শেষ ও তপন কাজী ওরফে বাঘা। এছাড়া বিচারক অপর ৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এরা হলেন- মোকাররম শিকদার, রেজাউল কাজী, শেখ রনি আহমেদ, অহেদুল মিনা, ফরিদ মিনা ও আহসান কাজি। দন্ড ও খালাসপ্রাপ্ত সবার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার নওখণ্ডা গ্রামে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএ পরীক্ষর্থী শিপন কাজীর সঙ্গে আসামি লেনিন শিকদারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। এছাড়া লেলিনের বোন মনিরার সঙ্গে শিপনের প্রেমের সম্পর্কও ছিল। বোনকে বিয়ে করার জন্য শিপনকে পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেন লেনিন শিকদার। কিন্তু ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিবাদ থাকায় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শিপন। ওই দ্বন্দ্বের জেরে ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিপনকে খুন করে। এরপর লাশের হাত পা বেঁধে গোহালা-উজানী খালের পানিতে ডুবিয়ে গুম করার চেষ্টা করা হয়। পরেরদিন ১ আগস্ট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর নিহতের মা মরিয়ম বিবি মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরে ঘটনার তদন্ত করে ২০১০ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলাটির বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।