সকল মেনু

গাজায় হামলায় মুসলিম বিশ্ব দায়ী- ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ

 ঢাবি প্রতিনিধি : গাজায় হত্যাকাণ্ডের পেছনে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোই বেশি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের নিষ্পাপ নারী ও শিশুকে হত্যা করছে তা কখনো কাম্য নয়। আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা এ সাহস পেত না। বরং ধ্বংস হয়ে যেতো। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো আজ সম্পূর্ণরূপে চুপ। একদিকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তাদের অর্থ সহায়তা দিয়ে সহযোগীতা করছে। অন্যদিকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো তাদের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যারা সব সময় মানবতার গান করেন তারা আজ কোথায়? আজ যুক্তরাজ্য চুপ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। জাতিসংঘের কোনো জোরালো  ভূমিকা নেই। অন্যদিকে ওআইসি, সৌদিআরব, ইরান, তুরস্ক, মিশরসসহ ক্ষমতাধর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেন না। অসহায় ফিলিস্তিনের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মুসলিম বিশ্বকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান করবো তাদের সব ভিসা বন্ধ করে দিতে। যাতে কোনো ইসরায়েলি বাংলাদেশে আসতে না পারে।’

ঢাবির সাবেক প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, ইসরায়েল নির্বিচারে মানুষ মারছে। পশ্চিমারা হাসছে। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো তা চেয়ে চেয়ে দেখছে। কোনো কথা বলছে না। এর চেয়ে দুঃখজনক কিছুই হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা গরিব রাষ্ট্র হতে পারি। তবুও আমি সরকারকে আহ্বান জানাবো ফিলিস্তিনের সাহায্যে এগিয়ে আসতে। ত্রান, চিকিৎসা সেবাসহ তাদের পাশে দাঁড়াতে। এ সময় তিনি ইসরায়েলের ওপর কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। শিগগির হামলা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনে এ কই দিনে ধবংস হওয়া সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিতে হবে। আহতদের পূর্ণ চিকিৎসা সেবা দিতে হবে, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ধবংস হওয়া বাড়িগুলো নতুন করে নির্মাণ করে দিতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, জাবির প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি অ্যাম্বাসেডর শাহের মাহমুদ, পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুকমল বড়ুয়া, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক’শ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top