সকল মেনু

বোয়ালমারীতে মিস্টি খাইয়ে অজ্ঞান -৭, মালামাল লুটপাট আটক-১

 লিটু সিকদার, ফরিদপুর প্রতিনিধি: শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের আরজি শিবানন্দপুর গ্রামে রান্না করা সেমাই এর সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে বাড়ির লোকদের অজ্ঞান করে টাকা, সোনাসহ মূলবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় অজ্ঞান পার্টি।এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে জনৈক খাদিজা বেগম (৩০) ও তাঁর স্বামী মো. সবুজ ওই গ্রামের আবুল খায়ের দেওয়ানের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করা শুরু করে। খাদিজা চুরি, সুতা ফেরি করে জিবিকা নির্বাহ করতো। তবে তার স্বামী নিয়মিত খোদেজার সাথে থাকতো না। ওই রাতে খাদিজা বেগম সেমাই রান্না করে গৃহকর্তাসহ বাড়ির সকলকে খাওয়ায়। রান্না করা সেমাই খেয়ে বাড়ির লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে খাদিজা বেগম ও তার স্বামী বাড়ির মালিক আবুল খায়ের দেওয়ানের বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়। গতকাল রোববার সকালে এলাকাবাসী সেমাই খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ওই পরিবারের সাত সদস্যকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পরিবারের সদস্যরা হলেন, গৃহকর্তা আবুল খায়ের দেওয়ান (৬০), তার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫), মেয়ে নাসিমা বেগম (২২), পুত্রবধু জোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তামজিদা সুলতানা (২৬), ছেলে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ছাত্র মো. শরিফুল ইসলাম (১৮), ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা গৃহকর্তার নাতনী রাঙ্গামুলারকান্দি হাজি আব্দুল্লাহ একাডেমির অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রাজিয়া বেগম (১৪) ও কাজি সিরাজুল ইসলাম কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম (১৭)।

তবে গৃহকর্তার মেয়ে নাসিমা বেগম দাবি করেছেন, তিনি খোদেজার রান্না করা সেমাই খাননি। তাই বাড়ির অন্য লোকদের মত সে অজ্ঞান হয়নি। রাতে খোদেজা ও তাঁর স্বামী সবুজ বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার সময় তিনি বাধা দেয়। কিন্তু তাকে মারপিট করে বাড়ির বাইরে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে খোদেজা ও তাঁর স্বামী। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. খালেদুর রহমান বলেন, অসুস্থরা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে এবং শরীরে দুর্বলতা রযেছে। তিনি বলেন, তাদের সেরে উঠতে একটু সময় লাগলেও সকলেই বিপদমুক্ত। বোয়ালমারী থানা সুত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবুল খায়েরের বাড়ির পাশের আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে মো. সবুজ আল্ সাবাহ (২৮) নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। মো. সবুজ আল সাবাহ জানান, আমি এ ঘটানার সাথে জড়িত নই। আমি কাশিয়ানী থেকে আমার খালু বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ খোদেজা বেগমের স্বামী সবুজ সন্দেহে আমাকে আটক করেছে। এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বোয়ালমারী থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম জানায়, আটক তরুণ খোদেজা বেগমের স্বামী নিশ্চিত হয়েই তাকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top