সকল মেনু

বেলাবতে মহাসড়কেই বসে সবজির হাট

 বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: দেশের বৃহৎতম সবজি উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত নরসিংদীর বেলাবতে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কেই বসে সবজির হাট। ফলে মহাসড়কে যানযট সহ প্রতিদিনই ঘটে ছোটখাট দূঘর্টনা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সবজির বাজারের স্থান সংকুলতায় কারনেই কৃষকরা বাধ্য হয়ে মহাসড়কে সবজি নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান নেয়। বিবরনে প্রকাশ,বাংলাদেশের অন্যতম সবজি উৎপাদনকারী এলাকা নরসিংদীর বেলাব ও রায়পুরার এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় ভাবে বিক্রি করে উপজেলার বারৈচা,জংলী শিবপুর, নারায়নপুর , মরজাল বাজারে। আর এসব বাজারগুলো গড়ে উঠেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে । বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার,চরউজিলাব,দেওয়ানেরচর,বারৈচা,নারায়নপুর,মাহমুদাবাদ,পিরিচকান্দি,শিবপুর,চরধুকুন্দি,উত্তর বাখরনগর ,যশোর,মরজাল,লক্ষিপুর,দুলালকান্দি সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি এসব বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।

ভ্যান গাড়ি,রিক্সা ,ট্রলী সহ প্রভৃতি বাহন নিয়ে কৃষকরা বাজারগুলোতে আসায় সহজেই বাজার ভরে মহাসড়কেও ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাঘম ঘটে। সপ্তাহের সোম,বুধ ও শুক্রবার বসে বারৈচা বাজার,রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে জংলী শিবপুর বাজার,মঙ্গলবার বসে নারায়নপুর বাজার। এছাড়াও সপ্তাহে প্রতিদিনই এসব বাজার গুলোতে সবজি কেনা বেচা হয়। দেশের বৃহৎতম সবজির হাট হওয়ায় ঢাকা,সিলেট সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা ট্রাক নিয়ে আসে সবজি কিনে নেয়ার জন্য। প্রতি হাটেই হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে বাজার গুলোতে। তাছাড়া ভ্যান,রিক্সা ,ট্রলী,ট্রাক সহ ছোট বড় নানা ধরনের পরিবহনের কারনে এসব বাজার লোকে লোকারন্য আর মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানযটের।

অথচ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ সমস্যার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়না কোন উদ্যোগ। এখানে নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা, নেই কোন নিরাপত্তা কর্মী। স্থানীয় ভাবে দুই একজন লোককে দৈনিক মুজুরীর ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হলেও তদারকীর কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারাও তাদের দায়িত্ব পালন করে দায়সাড়া ভাবে। কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতারাও নির্ভিগ্নে মহাসড়কেই সবজি কেনা বেচা করে। ফলে মহাসড়কের সবজির বাজার মহাসড়ক থেকে সরানো যাচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে দেওয়ানের চর গ্রামের সবজি চাষী হাবিব মিয়া বলেন,ইচ্ছে করে আমরা তো সবজি নিয়ে মহাসড়কে বসিনা। এটা দীর্ঘদিনের অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে। জায়গা না থাকার অজুহাতে মহাসড়কে সবজির পাইকারী হাট বসে। কেউ কিছু বলেনা।

এ ব্যাপারে কথা হয় বারৈচা বাজার কমিটির সভাপতি ও চর উজিলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, বাজারের স্থানের তুলনায় ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশী হওয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সবজির হাট বসে। তবে আমরা পূর্বে প্রশাসনের সহযোগী নিয়েও মহাসড়ক হতে সবজির বাজার বন্ধ করার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top