সকল মেনু

রেল কর্মকর্তার অপহরন নাটক: পাঁচলাইশ থানার এক কর্মকর্তার হম্বি-তম্বি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: অপহরনের নাটক করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত এক রেল কর্মকর্তার পরিবার দাবি এখন দাবি করছে ওই কর্মকর্তাকে অপহরন করা হয়নি। সে এখন চট্রগ্রামে তার এক আতœীয়ের বাসায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক প্রকৌশলী  আঃ খালেক গত বুধবার সন্ধ্যার পর ফরিদগঞ্জের রূপসা বাজার থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হবার আগে ড্রেজারের মাটি কাটার টাকা নিয়ে পাওনাদার বিল্লাল হোসেনের সাথে তার কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ওইদিন রাতেই খালেকের ভাই আঃ মতিন তার ভাইকে তার সামনে ফরিদগঞ্জ থানায় আসার পথে অপহরন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে থানায় ডিজি করে। সাংবাদিকরা খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে গেলে  আঃ খালেকের কিশোরী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লোপা এবং তার স্ত্রী  সুফিয়া বেগমও জানান, আঃ খালেক গত রাত থেকে নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ফরিদগঞ্জের সংসদ সদস্য ড. মোঃ শামছুল হক ভ’ঁইয়াও বিষয়টি উথ্থাপন করেন। আজ শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় এ বিষযে জানতে চাইলে থানার তদন্ত বিষয়ক পরিদর্শক জানান, তাকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার তার উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হবার প্রেক্ষিতে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা  একুশের চট্রগ্রাম অফিসে ফোন করে জানান, আঃ খালেক অপহৃত হয়নি। তাই তাকে উদ্ধার করারও প্রশ্ন অবান্তর।  তিনি তার আতœীয় এবং বর্তমানে চট্রগ্রামে আছেন। শনিবার প্রচারিত টিকারের ব্যাপরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আপত্তি করলেও বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিভিন্ন টেলিভিশনে আঃ খালেকের কথিত অপহরনের বিষয়ে সারাদিন তার মেয়ে ও স্ত্রী’র কান্নাজড়িত সাক্ষাতকার প্রচারিত হলেও তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা বা তার স্বজনরা কোন আপত্তি করেননি।  এ বিষয়ে মনিবার বিকেলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আঃ খালেক অপহরনের নাটক করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top