সকল মেনু

রৌমারীর নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন – এমপি রুহুল আমিন

ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্ষা শুরু হতে না হতেই নদ-নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলার ডিগ্রিরচর,সাহেবেরআলগা,ঘুঘুমারী,সোনাপুর,চরপাখিউড়া,চরখেদাইমারী,ফুলুয়ার চর ,কুটিরচর, চর বাঘমারা,ও রাজিবপুর সদরসহ নদী তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গন কবলিত প্রায় ৫০টি গ্রাম যেখানে রয়েছে স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।
বর্ষা মৌসুমের পুর্বে নদীতে  স্থায়ী বান্ডাল নির্মাণ করে দুটি উপজেলাকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহর হতে নদীর দূরত্ব মাত্র ১ কিলো মিটার। রৌমারী  ও রাজিবপুর উপজেলার ৪ লাখ মানুষের প্রাণের দাবী ব্রহ্মপুত্রের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করা হউক।  সোমবার কুড়িগ্রাম ৪-আসনের জাপা(মঞ্জু) সমর্থিত সংসদ সদস্য রুহুল আমিন সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন বলে জানানো হয়। এসময় তার সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের,ডিজাইনার মোঃ মোতাহার হোসেন,উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবিবুর রহমানসহ স্থানীয়রা ছিলেন। স্থানীয় তোতা মিয়া জানান,বাংলাদেশ স্বাধীনের ৪২ বছর অইল ক্ষমতাও বার বার বদল অইছে ,যেই আহে সেই কয়, তোমাগো বিটে মাটি জমি জিরাত আর বাংবো না, কিন্তু কেউ কথা দিয়া কথা রাহে নাই। ৪২ বছরে ১০ বার নদী বাংগোনের তালে পড়চি, আর কত বার জানিনা। এ ব্যাপারে এমপি রুহুল আমিন জানান,আমি চরের মানুষ,চরের নদী ভাঙ্গা মানুষের বসত ভিটে,জমি জিরাত হারানোর যন্ত্রনা আমি বুঝি।তিনি আরো বলেন,চরাঞ্চলের  নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষকে ভাঙ্গনের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষার বিষয়ে সরকারের সাথে কথা বলছি এবং সংসদেও উত্থাপন করব।  রৌমারী ও রাজিবপুর এলাকা নদী ভাঙ্গন কবলিত করতে যা যা করনীয় তা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top