সকল মেনু

জেনে নিন স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে নিমপাতার ব্যতিক্রমী ৬টি ব্যবহার

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক, ১ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : নিমপাতার কথা শুনলেই সবার প্রথমে আমাদের ভেতর থেকে তেতো একটি অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কারণ আমরা সবাই জানি নিমের স্বাদ হলো তেতো। কিন্তু তেতো স্বাদের এই বস্তুটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রতিদিন কী কী কারণে আমাদের নিমপাতা ব্যবহার করা জরুরী।

অ্যাজমা উপশমে নিমপাতা

নিম পাতার তেল অ্যাজমা উপশমে অনেক বেশি জরুরী একটি উপাদান। নিম পাতার তেল কাশি,মিউকাস এবং জ্বর পর্যন্ত কমানোর ক্ষমতা রাখে। নিমপাতার তেল আপনি সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন। নিম পাতা ধুয়ে খাওয়ার অলিভ অয়েলে দিয়ে গরম করুন। পাত্রটি আলাদা করে ৩ দিন রেখে দিন। এরপর নিমপাতা তুলে নিয়ে তেলটুকু আলাদা করুন। প্রতিদিন সামান্য পরিমানে এই তেল খেয়ে দেখুন।

পেটের নানা সমস্যা সমাধানে নিমপাতা

মাঝে মাঝে পেটের নানা সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এই ধরণের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য নিমপাতা এবং নিম গাছের বাকল ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এরপর এই পানি দিনে ২ বার পান করুন। পেটের সমস্যা দূর করা ছাড়াও এটি ম্যালেরিয়া এবং চামড়ার অনেক সমস্যার সমাধান করে।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতা

নিমপাতার রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে বেশ উপযোগী। তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন নিমপাতার রস খান।

দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সমস্যা সমাধানে নিমপাতা

দাঁত মাজার উপকরণ হিসেবে নিম গাছের ডাল বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি দাঁতের মাড়ি এবং দাঁতের অনেক সমস্যার সমাধান করে। নিমের রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দাঁত এবং দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায় কাজ করে।

ত্বকের সুরক্ষায় নিমপাতা

নিমপাতার রস টোনার হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে ব্রণ, ত্বকের দাগ, ত্বকের রুক্ষতা এবং ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। ২০-২৫ টি নিমপাতা ২ গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন। পানি ততোক্ষণ পর্যন্ত ফোটাবেন যতোক্ষণ পর্যন্ত নিমপাতার সবুজ রঙ বিবর্ণ না হয়ে যায়। এরপর এই পানি ছেঁকে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন এই পানি তুলোয় ভিজিয়ে ত্বকের ওপর বুলিয়ে নিন।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিমপাতা

চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যউজ্জ্বল করতে চাইলে ব্যবহার করুন নিমপাতার পানি। ১ লিটার পানিতে অনেকগুলো নিমপাতা দিয়ে পানি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হলে শ্যাম্পু শেষে ব্যবহার করুন এই পানি। চুলের রুক্ষতা দূর হবে এবং খুশকির সমস্যারও সমাধান হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top