সকল মেনু

মেলায় খুদে বিজ্ঞানীদের বিস্ময়কর সব আবিষ্কার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ২৮ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরেটরিতে বিসিএসআইআর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান, শিল্প ও প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে।

মেলায় নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক- তিন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৮৫০ জন বিজ্ঞানী তাদের প্রকল্প নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন। ৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব খুদে বিজ্ঞানীর তৈরি ২১০টি প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে মেলায়। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করে প্রকল্পগুলো সাজিয়েছেন প্রতিযোগীরা।

রাজধানীর যানজট নিয়ে একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছেন আলফি রহমান রাতুল, মেহরাহ হোসেন ফাহাদ, মো. সিয়াম ও সাদমান। তারা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
তাদের প্রকল্পের নাম হলো ‘স্কাই বাস’। তারা প্রকল্পের ডিজাইনে দেখিয়েছেন কিভাবে স্কাই বাস ব্যবহারের ফলে যানজটের হাত থেকে সমাধান পাবে রাজধানীবাসী।

তারা বলছেন, স্কাই বাস চালু করার জন্য ফ্লাই ওভারের মতো আলাদা রাস্তা হবে রাজধানী জুড়ে। এটা চালু হলে সেখানে কেবল বিভিন্ন রুটের বাসগুলোই চলবে। এছাড়া বর্তমানে যে রাস্তাগুলো আছে সেখানে বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলবে।
এই খুদে বিজ্ঞানীদের মতে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে একদিকে যেমন যানযট কমবে তেমনি গ্যাসের ঘাটতিও কমবে।

এদিকে হলিক্রস উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রী অংশ নিয়েছে এমন একটি প্রকল্প নিয়ে যার মাধ্যমে পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি করা যাবে। প্রকল্প ডিজাইনারদের মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হলে পরিবেশ একটি নতুন, সুস্থ, ও পরিচ্ছন্ন রূপ পাবে।

প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি ও ব্যবহারের পর তা থেকে গাছের খাদ্য, জ্বালানী উৎপাদন সম্ভব জানান প্রকল্পবিদরা।

বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে অংশ নিয়েছেন ফারজানা বিনতে ফারুক, রুবাইয়া রহমান, মাহফুজা হক। তারা তৈরি করেছেন ‘অ্যাপ্ল্যায়িং গ্রিন কেমেষ্ট্রি ইন ট্যানারি ইন্ড্রাষ্ট্রি’ নামের প্রকল্পটি। এর মাধ্যমে হাজারীবাগের প্রায় দুই লাখ মানুষের সুস্থ পরিবেশে বসবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ।

ডিজাইনদের বর্ণনা অনুযায়ি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রতিটি ধাপে প্রচুর পরিমাণ তরল বর্জ্য নির্গত হয়, যা সরসরি জলাশয়ে যাচ্ছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানিকে রাসায়নিক ও ভৌত উপায়ে বিশুদ্ধ করে পুনরায় ট্যানারিগুলোতে সরবরাহ করা।

একই সঙ্গে পানিতে মিশ্রিত ক্যামিক্যাল সমূহ ও পুনরায় ফেরত পাওয়া যাবে। ফলে পানি ও ক্যামিক্যালসের পুন:ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এছাড়া দূষণ কমার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও কমে আসবে বলে জানান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top