জীবনে অনেক কিছু নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করি। অনেক পরিস্থিতি আছে যা পরিবর্তন করতে আমরা অতিরিক্ত সময় ও শক্তি নষ্ট করি। অথচ বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, এসব পরিস্থিতি নিজে থেকেই আমাদের অনুকূলে এসে পড়ে। কখনো বা দেখা যায়, এসব পরিস্থিতিকে আমরা যত কঠিন মনে করি, তা আসলে তত কঠিন নয়। তাই এসব পরিস্থিতকে নিজের মতো করে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। আর একটা বয়সের পর আমরা বুঝতেই পারি কোন পরিস্থিতকে এভাবে ছেড়ে দিতে হবে।
২) বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনি উন্নত এবং পরিণত হতে থাকবেন
অনেকে মনে করেন বয়স বিশের কোটায় পৌঁছে যাওয়া মানে তাদের ব্যক্তিত্ব পরিণত হয়ে যাওয়া। তা কিন্তু সত্যি নয়। একজন মানুষ হিসেবে আপনার উন্নতি হতেই থাকবে। এ বয়সে আপনার বিপুল পরিমাণে ব্যক্তিগত উন্নতি। ভবিষ্যতে একদিন আপনি নিজের জীবনের দিকে ফিরে তাকাবেন এবং অবাক হয়ে দেখবেন, কত অল্প সময়ের মাঝে আপনার কতো বড় উন্নতি ঘটে গেছে।
জীবন হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া। বয়স বাড়ার ব্যাপারটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তার মানে এই নয় যে বয়স বেড়ে গেছে তারমানে জীবনের সব আনন্দ ফুরিয়ে গেছে। জীবন চলতেই থাকবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার জন্য আসবে অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। তাই এ নিয়ে চিন্তিত হবে না।
জীবন নিয়ে আমাদের সবারই অনেক বড় বড় পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু আমরা যা ভবি, সেভাবে জীবন নাও যেতে পারে। অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই ঘটতে পারে আমাদের জীবনে। এ কারণে আমাদের মেনে নিতে হবে যে আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই পরিকল্পনা সফল না হলেও জীবনের সাথে সাথে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে।
অনেকেই চিন্তা করে রাখেন, বয়স ত্রিশ হবার আগেই তারা নিজের সঙ্গী খুঁজে নেবেন, বিয়ে করবেন বা সন্তান নেবেন। কিন্তু জীবন নিতে পারে অনেক মোড়। আর আমাদের অজান্তেই সময় চলে যায়। এই সময়ের মাঝে নিজেদের এসব লক্ষ্য পূর্ণ না হলে অনেকেই হতাশ হয়ে ভাবেন তার জীবন বৃথা গেছে। এমন চিন্তা করা মোটেই উচিৎ নয়। আপনার নিজের প্রিয় মানুষটিকে খুঁজে পেতে দেরি হতেই পারে, জীবনে সন্তান আসতেও দেরি হতে পারে। তার মানে এই নয় যে আপনার জীবন ব্যর্থ।
আমরা ভাবি আমাদের সম্পর্ক এখন যেমন প্রাণবন্ত আছে, তেমনই থাকবে চিরকাল। কিন্তু মানুষের মন যেমন পরিবর্তনশীল, সম্পর্কও তেমনি পরিবর্তনশীল। যত্নে তা যেমন ভালোর দিকে যেতে পারে তেমনি অবহেলায় তা খারাপের দিকেও যেতে পারে। এমনকি শুধুই সময়ের প্রভাবেই তা পরিবর্তিত হতে পারে। এই পরিবর্তনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয় আমাদের।
অন্যরা কি বলছে, বিশেষ করে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যাপারে কী মত পোষণ করছে, তার ব্যাপারে আমাদের বেশ মনোযোগ থাকে। কিন্তু একটা বয়সে গিয়ে অন্যদের মতামতের প্রতি আমাদের একটা অনীহা এসে যায়, আর আসাটাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা ততদিনে নিজের জীবনের হাল ধরে ফেলি এবং অন্যরা তাতে নাক না গলালেই আমাদের ভালো লাগে।
একজন মানুষ সাধারণত এই বয়সে স্বাবলম্বী হয়ে পড়ে। অনেক নারী অবশ্য বিবাহিত জীবনে স্বামীর ওপরে নির্ভরশীল থাকেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে তাদের উচিৎ একটি ব্যাকআপ রাখা অর্থাৎ কোনো কারণে তার স্বামী অর্থাভাবে পড়লে বা তার খরচ দেওয়া বন্ধ করলেও যেন তার অন্য কোনো আর্থিক অবলম্বন থাকে, তার ব্যবস্থা রাখা দরকার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।