সকল মেনু

শ্রমিক লীগই যথেষ্ট : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ‘আর ভয় দেখাবেন না, কথায় কথায় ধমক দিবেন না। তোমাগোর আন্দোলন ঠেকাতে আমাগো আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ লাগবে না। শ্রমিক লীগের একটা অংশই যথেষ্ট।’

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেছেন।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত ‘২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘আমাগো আন্দোলনের ভয় দেখাইয়া রুমে আটকিয়ে রাখা যাইবে না। আন্দোলনের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জন্ম’ বলেও স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।

শেখ হাসিনার সরকারকে শ্রমবান্ধব অভিহিত করে ও শ্রমিক কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকারের মেয়াদে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও ক্ষমতার আসার পর প্রতিবছর ৫ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় এসে প্রতিবছর মাত্র দুই লাখ লোক পাঠিয়েছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যেক জেলায় জেলায় শ্রমিকদের কল্যাণে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটা বাস্তবায়ন হলেই প্রতিবছর শ্রমিকদের ট্রেনিং দিয়ে আমরা সাত থেকে আট লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে পারব।’

‘দেশে যে কেউ কারখানা খাইতে পারে, এটা খালেদা জিয়ার কাছ থেকে শিখতে হবে’ এমন দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ক্ষমতায় এসে আদমজী কারখানা বন্ধ করে দিয়ে দুই লাখ শ্রমিকের পেটে লাথি মেরেছেন। কিন্তু আমরা আবারও আদমজী কারখানা শ্রমিকে মুখর করব।’

আমেরিকার সরকার জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছে কিন্তু ওনাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের শ্রম আইন উন্নত বলে প্রশংসা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের মেয়াদের শেষ সংসদ অধিবেশনে শ্রম আইন পাস করা হয়েছে। শ্রম আইন যাতে সব কারখানার মালিকরা ইমপ্লিমেন্ট (বাস্তবায়ন) করে, সে জন্য মন্ত্রী হিসেবে যথাসাধ্য চেষ্টা করে বাধ্য করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন বাস্তবায়নে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির সভাপতি হিসেবে সার্বিকভাবে আইনটির দুর্বল দিকগুলো নিয়ে মনিটরিং করছি। সময় এলেই আইনের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করব।’

এ ছাড়া দেশের সাতটি বিভাগে অর্থনৈতিক জোনসহ ইপিজেড স্থাপন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ।

সভা পরিচালনা করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top